আইভীকে অচিরেই গ্রেপ্তার করতে হবে : আজাদ
Published: 16th, January 2025 GMT
গত আন্দোলনে যারা আওয়ামী লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে সে অর্থ দিয়ে যারা মানুষকে গণহত্যা করেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। যেভাবে তদন্ত চলছে এভাবে তদন্ত করলে চলবে না।
এসব মামলার আওয়ামী লীগের যারা আসামি তারা বুক ফুলিয়ে কিন্তু শহরে চলাচল করছে। মামলার আসামি কিন্তু আইভীও। তিনি তো আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে।
আইভীতো এই শহরেই অবস্থান করছে তাহলে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে তো মামলা হয়েছে অচিরেই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান মিঞায মতবিনিময় সভা বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর বারোটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদায় ডিসি মাহমুদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একটি পার্ট ছিল। ওনাকে তো আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তার সময় কিন্তু এই সকল মামলাগুলো হয়েছে কিন্তু তিনি একটি ও কিন্তু কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেননি।
বরঞ্চ উনি এই বিষয়গুলো বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আমাদের বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় উল্টাপাল্টা অভিযুক্ত চেষ্টা করেছে।
আসলে কোন কিছুই কিন্তু চাপা থাকে না সবকিছু কোন না কোন ভাবে কিন্তু বের হয়ে আসে। সামনে সামনে তার ব্যবহার ছিল কিন্তু খুবই সুন্দর কিন্তু ভিতরে ভিতরে তিনি আওয়ামী লীগের পারপাস সাফ করেছেন। ১৭ বছর দেশে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল উনি কিন্তু ছিলেন তাদেরই পারপার সাফ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, মাদক মক্ত বাংলাদেশ আমরা কিন্তু সবাই চাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উনি নৈরাজ্যের বিপক্ষে ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশের পক্ষে। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি'র পক্ষ থেকে বলতে চাই আমরা মাদকমুক্ত একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাই।
সেজন্য আমরা আপনার পরিপূর্ণ সহযোগিতা চাই। যানজট এটা কিন্তু বড় কোন বিষয় নাই আপনাদের যদি সবাই চান তাহলে এটা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। ডিসি ও এসপি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলেন শহরে যানজটের সমস্যা থাকবে না।
আর আইন-শৃঙ্খলা কমিটি বিষয় নিয়ে এসেছে এ বিষয়টি আপনি বিশেষ বিবেচনা নিয়ে নতুন করে দিলে সাজাবেন। আমি যতটুকু জানি আপনি মানবিক ডিসি হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
আপনি নারায়ণগঞ্জে মানবিক ডিসি হিসেবে কাজ করবেন দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই আপনার পাশে আছি এবং সহযোগিতা করব আপনি কাজ করে যান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন র য়ণগঞ জ ক জ কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।