বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
Published: 19th, January 2025 GMT
বন্ধু ইয়াসিনের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল অটোরিকশাচালক রাকিবের। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে ইয়াসিন ও তাঁর মামাতো ভাই আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন তারা।
ইয়াসিনকে ধরার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান ঢাকার দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.
হত্যাকাণ্ডের শিকার চালক রাকিব উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মোক্তার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন উপজেলার আগলা ইউনিয়নের ইয়াসিন ও কৈলাইল ইউনিয়নের আশরাফুল। গতকাল শনিবার নবাবগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান আশরাফুল আলম।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইয়াসিন। এদিন তারা আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর ভাই রবিউল হোসেন।
বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে রাকিবের সঙ্গে থাকা ইয়াসিনকে আটক করার পর মেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পরে শুক্রবার রাতে সন্ধান চালিয়ে আগলা পূর্বপাড়ার একটি নির্জন চক থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন পুলিশকে জানান, হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আগলা পূর্বপাড়া চকের নির্জন মাছের খামারের পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলার বাদী রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন বলেন, তাঁর ভাই অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হতো। তারা ভাইকে হত্যা করল কেন? তিনি জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা, তা জানতে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ। তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।