গত বছর দুয়েকে ধরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কারিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানে সহ বিশ্ব ফুটবলের অনেক বহু বড় তারকারা নাম লিখিয়েছেন সৌদি প্রোলিগের ক্লাব গুলোতে। সেই ধারাবাহিকতায় গত মৌসুম থেকেই ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুসকে জুনিয়রকে পেতে চেয়েও সফক হয়নি সৌদি ক্লাবগুলো।

তবে মরুর দেশের মানুষ হওয়াতেই হাল ছাড়ার পক্ষে নয় তারা। গুঞ্জন আছে ভিনিসিয়ুসকে পেতে আবারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। ফিফার বর্ষসেরা এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে পেতে অবিশ্বাস্য এক অংক প্রস্তাব করতে পারে আল আহলি।

আরো পড়ুন:

এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল

ইয়ামালই এই মুহূর্তে সেরা তবে মেসির পরে 

 

ইএসপিএন এবং স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার প্রতিবেদন অনুসারে, আল আহলির প্রস্তাবটি হতে যাচ্ছে ফুটবল দলবদলের বাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। সৌদি ক্লাবটি ৩৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লোভনীয় একটা প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ভিনিসিয়ুসের বর্তমান ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে। যা ব্রাজিলিয়ান তারকাকে বানাবে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। তবে একদিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে শত গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা ভিনির সাফ কথা, স্বপ্নের ক্লাবে থেকেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিতে চান তিনি।

২০২৩ সালে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ভিনি। নতুন চুক্তি অনুযায়ী এই উইঙ্গার মাদ্রিদে থাকবেন ২০২৭ সাল পর্যন্ত, তার রিলিজ ক্লজ ১ বিলিয়ন ইউরো। তবে এর মধ্যে ৩৬৫ মিলিয়ন ডলারের (টাকার অংকে ৪ হাজার ২০০ কোটি) নতুন এই প্রস্তাবে আবারও নড়েচড়ে বসেছে ফুটবল দুনিয়া। অন্যদিকে সৌদি ক্লাবগুলোর ধারণা রিয়ালে এই মৌসুমে ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে যোগ দেওয়ায় ভিনি গুরুত্বের সঙ্গে ভাববেন প্রস্তাবটি।

ভিনিসিয়ুসকে পেতে আল আহলি জোর চেষ্টা শুরু করলেও একই দৌড়ে আছে অন্য ক্লাবও। রোনালদোর আল নাসর এবং নেইমারের ক্লাব আল হিলালও নাকি কিনতে চায় ভিনিকে। আপাতত অবশ্য এই দুই ক্লাবের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে আল আহলিই। যেখানে রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজ এবং ইভান টনির মতো তারকারা খেলেন।

সৌদি প্রস্তাবের প্রসঙ্গে এই ২৪ বছর বয়সী তারকা অবশ্য যা বললেন তাতে মন জুড়িয়ে যাবে ফুটবলপ্রেমীদের। ভিনিসিয়ুস টিএনটি ব্রাজিলকে বলেন, তার ভাবনা শুধু রিয়ালকে ঘিরেই, “আমার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো নিজের খেলায় প্রতিনিয়ত উন্নতি করার ব্যাপারটি মাথায় রাখা। নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার পথে এগিয়ে চলা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবকে সহায়তা করা।”

রিয়ালে নিয়ে ভিনিসিয়ুস তার স্বপ্নের কথাও জানাতে ভুললেন না, “আমার স্বপ্ন ছিল এই ক্লাবে আসা, সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা। এখনকার কথা বললে, এটিই আমার স্বপ্ন, বড় চিন্তা করা এবং এই ক্লাবের জার্সি গায়ে আরও অনেক ট্রফি জেতা।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...

গল্প যখন জাহাজের রহস্যময় খুন, তখন সবার আগে মাথায় আসে ১৯৭৮ সালের ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর কথা। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য লাস্ট অব শিলা’ সিনেমাটিও এগিয়ে থাকবে এদিক দিয়ে।
তবে রুথ ওয়ারের উপন্যাসভক্তদের জন্য নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি হতে পারত এমনই এক অভিজ্ঞতা। রুথের উপন্যাস ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেটফ্লিক্সে এসেছে একই নামের নতুন সিনেমা। তবে সাইমন স্টোন পরিচালিত সিনেমাটির শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও শেষপর্যন্ত রোমাঞ্চ ধরে রাখতে পারেনি।

একনজরে সিনেমা: ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স ধরন: ড্রামা, ক্রাইম থ্রিলার রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট পরিচালক: সাইমন স্টোন অভিনয় : কিরা নাইটলি, গাই পিয়ার্স, ডেভিড আজালা, গিটে উইট, আর্ট মালিক, হান্নাহ ওয়াডিংহাম, কায়া স্কোডেলারিও

লন্ডনের এক খ্যাতিমান অনুসন্ধানী সাংবাদিক লরা ব্ল্যাকলক (কিরা নাইটলি)। তিনি একটি হাইপ্রোফাইল অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁর সোর্সকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি কাজে ফিরে এসেও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি হঠাৎই তিন দিনের সমুদ্রযাত্রার আমন্ত্রণ পান। নরওয়েজীয় এক বিলিয়নিয়ার দম্পতি অ্যান লিংস্টাড (লিসা লোভেন কংসলি) ও তাঁর স্বামী রিচার্ডের (গাই পিয়ার্স) দাতব্য সংস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাভার করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। কাজ ও ছুটি কাটানোর এমন দারুণ সুযোগ লুফে নেন লরা।

‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ –এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ