গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা নির্ধারিত হবে। এ মুহূর্তে আমাদের বহুদলীয় সংবিধান প্রয়োজন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুজিববাদী সংবিধান থেকে বের হতে হবে। বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় কেউ কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চায়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র করতে চায়, সবাই মাঠে প্রস্তুত থাকবেন। রক্ত আমরা দিয়েছি, আরও দেব রক্ত, বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে নতুন সংবিধান গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭২-এর সংবিধান দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একদলীয় সংবিধান দিয়ে কখনও সম্ভব না। আমাদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটি সংবিধান দিতে হবে। যে সংবিধান তৈরি হবে সেখানে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যেসব শ্রমিক শহীদ হয়েছেন তাদের কথা থাকতে হবে। মায়েদের কথা, নারীদের কথা থাকতে হবে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক লড়াই ও দীর্ঘ ত্যাগতিতিক্ষাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু সেই মর্যাদা ও সম্মানের আসনে যদি তারা প্রতিষ্ঠিত হতে চায় এবং গত ৫৩ বছরে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, আমাদের করের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া ও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে নিয়ে বিদেশি শক্তিগুলোর খেলাধুলা প্রতিহত করতে চাইলে আমাদের একটি বহুদলীয় সংবিধান প্রয়োজন। চব্বিশের বাঘ ও বাঘিনীদের হাত ধরেই সেই নতুন যাত্রা ও সূর্যোদয় হবে।

সবাইকে গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আগামীর বাংলাদেশের সংকট সমাধানের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণপরিষদ নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। সেই গণপরিষদে আমরা এমন একটি সংবিধান চাই, যে সংবিধানে আমাদের আর কোনো রাষ্ট্রের কাছে গোলামির জিঞ্জির পরিধান করতে হবে না, যে সংবিধানের মাধ্যমে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স র দ দ ন প টওয় র ন স র দ দ ন প টওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত নিতে হতো: নাহিদ ইসলাম
  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • স্পেন ও পর্তুগালে ভয়াবহ বিদ্যুৎবিভ্রাট, সব ধরনের গণপরিবহনে বিপর্যয়
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু
  • নতুন কর্মসূচি দিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল