একের পর এক দেশের সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতা আগেই বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার সিনেমা না থাকার কারণে প্রেক্ষাগৃহটি চিরতরে বন্ধের ঘোষণা দিলেন মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।

মধুমিতার কর্ণধার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ঈদের পর সিনেমা হলটি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

প্রেক্ষাগৃহটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “দুই মাস ধরে হল বন্ধ রয়েছে। আর কোনোভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারও তো কিছু করছেন না। মাসের পর মাস লোকসান দিয়ে চালাচ্ছি। এভাবে তো চলতে পারে না। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কেন, মমর অকপট প্রশ্ন

মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী

৫৭ বছরের পুরোনো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটেও সুখকর নয়। বাধ্য হয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “৫৭ বছর ধরে সিনেমা চালাচ্ছি। কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ করেই দিতে হচ্ছে। রোজার ঈদে সিনেমা চালাব, কোরবানি ঈদেও চালাতে পারি এরপর একেবারে বন্ধ করে দেব।”

উৎসব ছাড়া তো সিনেমা চলে না, দর্শক আসে না উল্লেখ করে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “দেশি-বিদেশি কোনো সিনেমাই চলছে না। শুধু সিঙ্গেল স্ক্রিনই নয়, মাল্টিপ্লেক্সেরও তো একই অবস্থা। তাদেরও তো এখন কোনো সিনেমা সেভাবে চলছে না।”

গত বছরের নভেম্বরে মধুমিতা হলে মুক্তি পায় ‘দরদ’ সিনেমা। মধুমিতায় এটি সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। এরপর দুই মাস ধরে হলটি বন্ধ রয়েছে; কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। হল বন্ধ রেখে স্টাফদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।

ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা হল ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তা জানিয়ে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “এটা ভেঙে এখানে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করা হতে পারে। যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে আমার তো ইচ্ছে আছে এখানে মাল্টিপ্লেক্স করার।”

১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হলের উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বন ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা