‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ৮
Published: 31st, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের ব্যাংকপাড়া নতুন স্কুল রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে মামলার পর পুলিশ ইফতি মাহমুদ নামে এক যুবক ও তাঁর বাবা কবির মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে। তাদের গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সেলিম রেজা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো.
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবার রাতে ‘তোরা সমন্বয়ক, তোরা আন্দোলন করেছিস’ বলে সন্ত্রাসীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয় সন্ত্রাসী ইফতির নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে জানান তারা।
আহত শিক্ষার্থী তাহমিদ বলেন, আমরা গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (নতুন স্কুল) সড়কে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মেস করে থাকি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারণে আমরা সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হই। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে গতরাতেই সহপাঠী ও শিক্ষকরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যেই তিনজনের নাম উল্লেখ এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন আহত ছাত্র সেলিম রেজা। পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত ইফতি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা থানার সামনে থেকে সরে যান।
সদর থানার ওসি মীর সাজেদুর রহমান জানান, ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক গ প লগঞ জ গ প লগঞ জ দ র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।