ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, যারা ভাবছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লিখে গুজব ছড়িয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের কে বলতে চাই আপনারা চিন্তা করবেন না আপনারা আবার ক্ষমতায় আসবেন। শেখের বেটি শেখ হাসিনা আজ নিজেই পালিয়ে গিয়ে পাশের রাস্ট্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গা হিসেবে রয়েছেন। 

শুক্রবার বিকেলে এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে ধর্মগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবে  সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও গরীবদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চলনায় এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটনের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। 

তিনি বলেন এ দেশের মাটি মানুষের কথা চিন্তা করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি। তারা সব সময় এদেশের মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে গেছেন। কোন অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন নি। 

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা যেমন তাদের দলের কোন নেতাকে না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জের সেই আলোচিত গডফাদার  শামীম ওসমান ও তার কোন কর্মীকে না বলেই স্ব-পরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। হাসিনা আর তার সরকার প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ দেশে আসবেনা।  এ দেশের মানুষ হাসিনার লাশটি পর্যন্ত গ্রহন করবেনা।

প্রশাসন কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি বর্ষন ও হামলার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্যরা এলাকায় ঘুরে ফিরছে এমনকি হুমকি দিচ্ছি আপনারা তাদের কে গ্রেপ্তার করছেনা। যারা আজ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন তাদের কে গ্রেপ্তার করার আহবান জানান।

তিনি বলেন যারা ৫ আগস্টের পরে কবর স্থান মসজিদের জমি, ঝুট সন্ত্রাসী, ট্রাক স্ট্যান্ড,জমি জবর দখল করে মঞ্চে উঠে সাধু বক্তব্য দিয়েছেন তাদেরকে দল চিন্থিত করে তদন্ত করে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাবার পর ছেলের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিয়ে কমিটি ভেঙ্গে  দিয়েছেন। কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর সেই ব্যক্তি এখন বলে বেড়াচ্ছেন তাকে নমিনেশন দেওয়া হবে তাই কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। 

এগুলো মিথ্যা গুজব বলে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি থেকে তাকে ওয়ার্ডের কমিশনার বা মেম্বারের নমিনেশন দিবেনা। কারন দল জেনে গেছে তিনি মুখে বলেন এক করেন আরেক। তিনি জাহাজ কেটে খেয়েছেন, তার ছেলে ঝুট ছিনতাই করেছেন, কবরস্থানের জমি দখল করে নিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বাটপারি করছেন তা একন সকলেই জেনে গেছেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ