অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম  শেষ হয়েছে। পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এবার পুরস্কারে ছিল টাকার ছড়াছড়ি। আগেরবারের তুলোনায় যা ২ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি!

এবারের আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। চিটাগংয়ের সঙ্গে শেষ ওভারে ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকে যায় তার দল। তবে ব্যাটে বলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান করেছেন। 

এক নজরে দেখা যাক কার হাতে উঠলো কত টাকার পুরস্কার… 

আরো পড়ুন:

বিপিএলের রোল অব অনার

রান উৎসবের ফাইনালে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

ফরচুন বরিশাল: টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা আগেরবার থেকে ৫০ লাখ বেশি। 

চিটাগং কিংস: রানার্স আপ হয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পেয়েছে চিটাগং। 

খুলনা টাইগার্স: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে তৃতীয় হয়ে ৬০ লাখ টাকা পেয়েছে খুলনা। 

রংপুর রাইডার্স: ৮ জয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুর হয়েছে চতুর্থ। তারা পেয়েছে ৪০ লাখ টাকা। 

তামিম ইকবাল: ফাইনালে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তামিম হয়েছে ম্যান অব দ্য ফাইনাল। পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মেহেদী হাসান মিরাজ: ব্যাট হাতে ১৪ ইনিংসে ৩৫৫ রান ও বোলিংয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা ক্রিকেটার মিরাজ। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। 

তানজীদ হাসান তামিম: ১২ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরিতে ৪৮৫ রান করে ইমার্জিং ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তানজীদ। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এই পুরস্কার এবার প্রথম দেওয়া হয়েছে।  

নাইম শেখ: এক সেঞ্চুরি আর তিন ফিফটিতে ৫১১ রান করা নাঈম পেয়েছেন সেরা ব্যাটারের পুরস্কার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।

তাসকিন আহমেদ: ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে তাসকিন হয়েছেন সেরা বোলার। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।  

মুশফিকুর রহিম: ১২টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্পিং করে সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মুশফিক। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। 

ঢাকা/রিয়াদ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ