কাতার বিশ্বকাপ-২০২২ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ সংবাদের শিরোনাম হয়ে ওঠেন রোনালদো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেন তিনি। সেই সময়ে করা আড়াই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। তবে জানা গেছে, ৪০ পেরুনো রোনালদো আল-নাসরে আরও একটি মৌসুম থাকার জন্য রাজি হয়েছেন। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সৌদি আরবের ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি।

জানা গেছে, শিগগিরই এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

রোনালদো ছিলেন সৌদি প্রো-লিগের প্রথম কোনো বড় মাপের তারকা। এরপর রোনালদোর দেখানো পথে সৌদি প্রো-লিগে একে একে আসেন করিম বেনজেমা, নেইমার ও সাদিও মানের মতো খেলোয়াড়রা।

আরো পড়ুন:

ক্লাসিকোর আগে আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ গার্দিওলা

স্পোর্টিং-ডর্টমুন্ড ম্যাচটি মূলত দুই স্ট্রাইকারের লড়াই

রোনালদো এ পর্যন্ত আল-নাসরের হয়ে ৯০ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৮২টি। গোলে সহায়তা করেছেন ১৯টি। তবে এখন পর্যন্ত এই ক্লাবটির হয়ে খেলে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি সিআরসেভেন।

শিরোপা জিততে না পারলেও আর্থিকভাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন পর্তুগীজ তারকা। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় রোনালদো আছেন শীর্ষে। যিনি গেল বছর ১৩৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন। তার মধ্যে কেবল ৪৬ মিলিয়নই পেয়েছেন বেতন থেকে।

গেল গ্রীষ্মে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন আল-নাসরেই তার ক্যারিয়ারের ইতি টানার। তার আগে আরও এক বছরের জন্য সৌদি প্রো-লিগের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তিনি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ত্র ও মাদকসহ সাবেক এমপির ছেলে আটক

সাতক্ষীরায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রিফাত আমিনের ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে (৪৮) আটক করেছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার হেফাজতে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন শতাধিক ইয়াবা, ব্যথানাশক ইনজেকশন, মদ ও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। 

রুমন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। রিফাত আমিন ছিলেন জেলা মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনাসহ অন্যের জমি, চিংড়িঘের ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ রয়েছে রুমনের বিরুদ্ধে। 

স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনীর অভিযানকালে রুমন দোতলা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে নিচে অবস্থানরত সেনাসদস্যরা তাকে দ্রুত ধরে ফেলেন।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মেজর ইফতেখার আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ