ভালোবাসা দিবসকে সঙ্গে নিয়ে এল ঋতুরাজ
Published: 14th, February 2025 GMT
শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজলো। শুরু হলো কুয়াশার আবরণ উবে চকচকে সোনালী রোদের হাসির দিন। ফুটেছে পলাশ,ফুটেছে শিমুল। গাছে গাছে সমারহ নানা ফুলের। প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আজ পয়লা ফাল্গুন।
মাঘের বিদায়ের সাথে সাথে ছুটি মিলেছে ঘাসের আগায় জমে থাকা শিশিরের। হাজার মাইল অতিক্রম করে আসা অতিথি পাখিরা ফিরছে নিজ আঙিনায়। পাতা ঝরার এমন দিনে শুকনো পাতার মচমচ শব্দ আর নব জাগরণের সূর্যে ভর করে ভালোবাসা দিবসকে সঙ্গে নিয়ে এল ঋতুরাজ।
ভরদুপুরে কোকিলের সুরে গ্রামে ভাঙে নিরবতা আর শহরের কোলাহল। পলাশ, শিমুলের ডগায় আগুন রাঙা বাসন্তী ফুল। এ শহরেও বৃক্ষরাজি মাথা তুলে জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তার।
আজ লাল-হলুদের বাসন্তী রঙে ফুল মাথায় সাজবে তরুণীরা। আজ বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় বাঙালি কণ্ঠে তুলে নেবে রবীন্দ্রনাথের সেই পরিচিত গান ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়।’
মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই বসন্ত উৎসব। ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন শুরু হয়।
পয়লা ফাল্গুনকে উপলক্ষ করে ঢাকাসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চারুকলার বকুলতলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, বনানী লেক, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের অনেক জায়গায় দিনভর চলে বসন্তের উৎসব।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ
মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়।
আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।