ধাওয়া করে যুবককে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা
Published: 16th, February 2025 GMT
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঢাকার নবাবগঞ্জে মো. মফজেল (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে নবাবগঞ্জ ও পাশের কেরানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুরচর গ্রামে হত্যার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় মফজেলের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ রোববার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
নিহত মফজেল নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নে দড়িকান্দা গ্রামের মো.
স্থানীয় সূত্র জানায়, একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের কেনা জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী খালাসি পরিবারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত বছরের ৪ আগস্ট সালিশ বসে। সেখানে খালাসি পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরের পক্ষের কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় জাহাঙ্গীরের পক্ষে ছিলেন মফজেল। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করে। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হলে পালিয়ে যান মফজেল।
মফজেলের আত্মীয় কালাম মোল্লার ভাষ্য, শনিবার মফজেল মধুরচরের চঞ্চলের বাড়িতে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে চঞ্চল তাকে কল করে জানান, খালাসির লোকজন মফজেলকে ধাওয়া করে বাঁশবাগানের দিকে নিয়ে গেছে। তার খোঁজ পাচ্ছেন না। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকায় খোঁজ করে মানিক সরকারের বাড়ির পাশে গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায় মফজেলকে। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মারা যান।
খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে। মফজেলের বাবা সোবান শেখ বলেন, ‘এলাকার প্রভাবশালী খালাসিরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল-হাসান বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
নাটোরে ছুরিকাঘাতে খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার তেগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ ওই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। অভিযুক্ত সালমান (১৭) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান আত্মগোপনে
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব