Samakal:
2025-05-01@03:02:10 GMT

নজর বিদ্যানন্দের স্টলে

Published: 16th, February 2025 GMT

নজর বিদ্যানন্দের স্টলে

‘প্রতি টন কাগজের জন্য ১৭টি গাছের মৃত্যু হয়। আমাদের জ্ঞানের ক্ষুধা মেটাতে যে গাছ আত্মত্যাগ করেছে; তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আরেকটি গাছ রোপণ করি’– স্লোগানে চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলায় স্টল তৈরি করেছে বিদ্যানন্দ। পাঠক-দর্শনার্থী ঘুরেফিরে ভিড় করছেন এই স্টলে।
চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল রোববার মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যানন্দের স্টলের চারপাশে নানান আকারের গাছের কাটা অংশ। সামনের অংশে ঝুলছে লম্বা আকৃতির গাছের অংশ। রশিতে ঝুলানো গাছের একটি অংশ আবার কাটা; যেখানে রয়েছে রক্তের রং। এর নিচে লম্বা লম্বা গাছের কাটা অংশ দেওয়া হয়েছে পুরো অংশজুড়ে। স্টলের সাইনবোর্ড গাছের তৈরি। সেখানেও রাখা হয়েছে গোল আকারের গাছের একাধিক টুকরো। নামফলকের ডান পাশে লেখা হয়েছে, ‘কাগজ রিসাইকেল করি/বৃক্ষের প্রাণ বাঁচাই।’

পুরো স্টল তৈরি করা হয়েছে গাছের টুকরো দিয়ে। গাছের প্রতি মানুষের নির্মমতা থেকে বৃক্ষনিধন রোধে সচেতনতার বার্তা দিতে এই স্টল। পড়ে থাকা ও অব্যবহৃত গাছ সংগ্রহ 
করে সেগুলোকে নানা আকারে কেটে আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে স্টলটি। এখানে ৫০০ টাকার বই কিনলে দেওয়া হচ্ছে গাছ উপহার। কাগজ রিসাইকেল করে তা দিয়ে গল্প ও কবিতার বই প্রকাশ করেছে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগঠন।

এই স্টল নিয়ে কৌতূহল দেখা গেছে পাঠক ও দর্শনার্থীর মধ্যে। কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউ আবার হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখছেন। এর মধ্যে একজনকে দেখা গেল, কয়েকটি বই কিনে গাছের চারা উপহার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন। তাদের একজন কলেজ পড়ুয়া শিমলা। চার বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনের পর থেকে মেলায় আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সবাইকে একসঙ্গে না পাওয়ায় আসা হয়নি। প্রথমবারের মতো এসে গাছ দিয়ে তৈরি স্টলটি নজর কেড়েছে। সত্যি, এক কথায় দারুণ হয়েছে স্টলটি। গাছের ওপর মানুষের যে নির্মমতা, তা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে।’
তাঁর বান্ধবী কানিজ বলেন, ‘পছন্দের তিনটি বই কিনেছি; সঙ্গে উপহার পেয়েছি গাছের চারা। সত্যি, এ এক অন্যরকম অনুভূতি।’ অনেকে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্টল তত্ত্বাবধায়ক ওমর ফারুক বলেন, ‘গাছের ওপর মানুষের নির্মমতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। গাছের প্রতি মানুষের এমন নির্মমতা রোধ করতে ও গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহ বাড়াতে এই স্টল তৈরি করা হয়েছে। এখানে ব্যবহৃত সব গাছ নষ্ট ও অব্যবহৃত।’
বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা ও পুনর্ব্যবহৃত কাগজে ছাপানো ‘প্রতিধ্বনি’ বইয়ের লেখক কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘নির্বিচারে গাছ ধ্বংস রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সবাইকে গাছের প্রাণ বাঁচাতে কাগজ পুনর্ব্যবহার করতে হবে। আশা করছি, এটি অনুসরণ করবেন অন্যরাও।’
সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবহৃত কাগজ না ফেলে ও না পুড়িয়ে পুনর্ব্যবহার করা হলে একদিকে বৃক্ষের প্রাণ বাঁচবে; অন্যদিকে পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। আমরা চাই গাছ বাঁচাতে পুনর্ব্যবহৃত কাগজে নতুন বই প্রকাশ করতে এগিয়ে আসুক সবাই।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইল ও মাদকে আসক্ত। এই আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে বই। সৃজনশীল মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতেও বড় ভূমিকা রাখবে বই। বইমেলা সৃজনশীল, মননশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে ভূমিকা রাখবে।’
চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি ও বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু বলেন, ‘এবারের মেলায় ১৪০টি স্টলে ভালো ভালো বই এসেছে। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ হলেও মলাটবদ্ধ বইয়ের কদর কখনও শেষ হবে না।’
শিশু প্রকাশের মালিক আরিফ রায়হান বলেন, মেলার শুরুর দিকে বই বেচার হার কম হলেও এখন বাড়ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল ব দ য নন দ ন র মমত ব যবহ ত বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে

দেশের মোট শ্রমিকের ৮৪ দশমিক ১ শতাংশের কোনো দায়দায়িত্ব নেয় না রাষ্ট্র । শ্রমিক হিসেবে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। কোনো রকম আইনি ও সামাজিক সুরক্ষা নেই। কর্মস্থলের পরিচয়পত্র নেই। কাজের ক্ষেত্রে অন্যায়ের শিকার হলে তাদের শ্রম আদালতে মামলা করার সুযোগও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী,  অপ্রাতিষ্ঠানিক এই শ্রমিকের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার।

বিশালসংখ্যক শ্রমিকের প্রতি রাষ্ট্রের এ রকম অবহেলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত ২১ এপ্রিল পেশ করা কমিশনের ২৫ সুপারিশের মধ্যে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। 

দেশের শ্রম খাতের দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং শ্রমিকের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত ১৯ সদস্যের কমিশনপ্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। জানতে চাইলে গতকাল তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। শ্রম আইনে অন্য সব শ্রমিকের মতো একই অধিকার এবং সুযোগসুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছি। সামাজিক সুরক্ষার আওতায় তাদের জন্য ভাতার কথা বলেছি। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের জন্য এ সুবিধার সুপারিশ করা হয়নি। কারণ, তারা চাকরি শেষে কমবেশি কিছু আর্থিক সুবিধা পান।’ 

কমিশনের এ সব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত নজরদারি রাখার কথাও জানান তিনি। 

এ বাস্তবতায় আজ বৃহস্পতিবার মহান শ্রমিক দিবস পালন করা হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটি থাকবে। এ দিনও কাজ করতে হবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দিবসটি পালনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। 

বিবিএসের গত নভেম্বরে প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১২ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার। তাদের মধ্যে শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার। মোট শ্রমশক্তির ৮৪ দশমিক ১ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। 

দেশে শ্রমশক্তি বলতে ১৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে যারা কর্মে নিয়োজিত এবং বেকার জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে বোঝায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা–আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী, যারা সাত দিনে কমপক্ষে ১ ঘণ্টার বেতন, মজুরি বা মুনাফার বিনিময় অথবা পরিবারের নিজস্ব ভোগের জন্য পণ্য উৎপাদনের কাজ করেছেন জরিপে তাদের কর্মে নিয়োজিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আবার যারা কর্মক্ষম কিন্তু কোনো কাজে নিয়োজিত নন, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ খুঁজে বেড়ান এবং ওই সময়ে কাজের সুযোগ পেলে সে কাজ করতে প্রস্তুত তাদের বেকার বলা হয়েছে। এ হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬০ হাজার। 

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক কারা 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা–আইএলওর আন্তর্জাতিক শ্রম পরিসংখ্যানবিদের সম্মেলন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব লেবার স্ট্যাটিসিয়ান্স–আইসিএলসির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বেসরকারি অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা খানামালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর আইনি সত্তা নেই, পরিপূর্ণ হিসাব নেই, উৎপাদনের হিসাব দিতে হয় না এবং বেসরকারি ও অনিবন্ধিত–এরকম খাতকে অনানুষ্ঠানিক খাত এবং এ খাতের শ্রমিকদের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক বলা হয়। 

মূলত কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক বেশি। কৃষিতে ৯৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক। শিল্প খাতে ৮২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বড় অংশই গ্রামে থাকেন। 

বিবিএস বলছে, গ্রামের মোট শ্রমিকের ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। সংখ্যায় তারা ৪ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার। শহরের শ্রমিকদের এ হার কিছুটা কম। ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যায় এক কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার। নারী শ্রমিকদের ৯৫ দশমিক ৭ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে থাকেন।

শ্রম আইনে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ কমিশনের 

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, কৃষি, গৃহশ্রমিক, অভিবাসী, স্বনিয়োজিত শ্রমিকসহ সব শ্রমিকের জন্য শ্রম আইনে সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতি, পরিচয়পত্র, নিরবচ্ছিন্ন কাজ এবং আয়ের নিশ্চয়তা, মর্যাদাকর শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, এসব শ্রমিকের জন্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাদা অফিস অথবা ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং কল্যাণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সব ধরনের তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার করা, পরিচয়পত্র দেওয়া এবং অবসর ভাতা চালুসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে কমিশন। 

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রবীণ শ্রমিকদের জন্য অসরকালীন ভাতার সুপারিশ 

রাষ্ট্রের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা। অবসরের পরও কিছু সুবিধা পান তারা। তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা সারা জীবন খাটুনির পর প্রবীণ বয়সে আরও কষ্টে থাকেন। কারণ সামান্যতম কোনো সুবিধা পান না তারা। এ বিবেচনা থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য অসরকালীন ভাতা বা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর নির্ধারণের কথা বলা হয় এতে। দরিদ্র বেকার শ্রমিকদের বয়স্কভাতা এবং তাদের প্রতিদিনের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও অন্যান্য চাহিদা বিবেচনায় বয়স্কভাতার পরিমাণ নির্ধারণের কথা বলেছে কমিশন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের পেশা ও খাত অনুযায়ী সংগঠিত হওয়া, প্রতিনিধিত্ব করা ও নিয়োগকারী, তাদের সমিতি করার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয় কমিশনের সুপারিশে। 

প্রাতিষ্ঠানিকের ৫৫ খাতেও ন্যূনতম মজুরি নেই 

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। এখনও অনেক শিল্প খাতকে ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর আওতায় আনা হয়নি। মালিকপক্ষ যা দেয়, তা মেনে নিয়ে কাজ করেন শ্রমিকরা। এরকম অন্তত ৫৫টি খাতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়নি। 

শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বীকৃত শিল্প আছে ১০২টি। 

টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পের মজুরি বোর্ড হয় সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে। অর্থাৎ, গত তিন যুগ ধরে একই মজুরি চলছে এ খাতে। জানতে চাইলে সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা ইসলাম গতকাল সমকালকে বলেন, ন্যূনতম মজুরি কাঠামোতে বর্তমানে ৪৭টি শিল্প রয়েছে। নতুন করে দুটি শিল্পকে ন্যূনতম মজুরির আওতায় আনা হবে। আরও ২০ শিল্পকে এর আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, পেট্রোল পাম্পের শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণে বোর্ড গঠন হয়েছে। মালিক পক্ষ এ-সংক্রান্ত সভায় আসছে না। এ অবস্থায় করণীয় জানতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়েছে মজুরি বোর্ড। 

টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পে তিন যুগ ধরে একই মজুরির বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসা ইসলাম বলেন, টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পের আর অস্তিত্ব নেই। খাতটি হয়তো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ