Samakal:
2025-08-02@06:31:35 GMT

‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’

Published: 17th, February 2025 GMT

‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’

প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে প্রায় এক দশকের সম্পর্ক তাঁর। ‘মিসরের রাজা’ উপাধি নিয়ে লিভারপুলের হয়েই খেলেছেন প্রায় আট বছর। তাঁর জাদুতেই মিসরীয় ফুটবল সম্পর্কে উজ্জ্বল ধারণা ইংল্যান্ডে। সেই মোহামেদ সালাহ শেষের শুরুতে দাঁড়িয়ে। হয়তো এই মৌসুমেই শেষবারের মতো তাঁকে দেখা যাবে এই লিগে। তবে রাজার প্রস্থানের সময় যেন এক মিসরীয় যুবরাজ পেয়ে গেল ইংলিশ লিগের দর্শকরা। নাম তাঁর ওমর মারমুশ। বছর ছাব্বিশের এই মিসরীয় ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শনিবার এক উত্থানের গল্প লিখেছেন।

 নিউ ক্যাসলের বিপক্ষে মাত্র ১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যেই ৩ গোল করেছেন এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড। তাঁর এই হ্যাটট্রিকের সুবাদেই ম্যাচটি সিটি ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে। ২৫ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন তালিকার চতুর্থতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি। সামনের সপ্তাহেই রিয়াল মাদ্রিদের উঠানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ, তার আগে মিসরীয় এই যুবরাজকে পেয়ে স্বস্তি কোচ পেপ গার্দিওলার মধ্যে। ‘জার্মানিতে খেলার সময়ই মারমুশ তার প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছে। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যার অসাধারণ গতি রয়েছে, যে কিনা দারুণ দক্ষতায় বল পায়ে ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিতে পারে। আজকের গোলগুলো তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’ 

ম্যানসিটিও এরই মধ্যে তাঁকে ‘ফারাও অব ম্যানচেস্টার’ হিসেবে তাদের ফেসবুকে সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। গতি, ড্রিবল, উইঙ্গার-স্ট্রাইকারের ভূমিকা; এমন অনেক কিছুতেই সালাহর সঙ্গে মারমুশের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দলের অনেকে চোটাঘাতে থাকায় এই জানুয়ারিতেই ৭ কোটি ইউরোয় দলে ভেড়ানো হয় মারমুশকে। এর আগে তিনি জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের হয়ে খেলেছিলেন। সেখানে মৌসুমের প্রথমার্ধে ২৬ ম্যাচে ২০ গোল করেছিলেন। গার্দিওলা যখন ম্যানসিটির কর্মকর্তা জিকি বেগরিস্টেইনকে তাঁর কিছু ফুটলার লাগবে বলে এগোতে বলেন, তখনই সামনে আসে এই মারমুশের নাম।  

‘জিকিকে বলেছিলাম, যত বেশি খেলোয়াড় আনা যায়, তত ভালো হবে। আমি আমার কিছু জার্মান বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে মারমুশ সম্পর্কে জানতে পারি। আচরণ, অনুশীলন, গোল; তা ছাড়া বয়সেও তরুণ– সব মিলিয়ে মারমুশকে আনার সিদ্ধান্ত হয়।’ 

পেপ যে হীরা চিনতে ভুল করেন না, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। মারমুশ মিসরীয় হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা কানাডায়। বাবা-মা সেখানকার নাগরিত্ব পাওয়ায় প্রথম ছয় বছর তাঁর কানাডায় কাটে। এর পর মিসরে ফিরে যাওয়া, সেখান থেকে জার্মানি। ২০১৭ সালে জার্মান ক্লাব উলফসবার্গের হয়ে প্রথম তিন বছর রিজার্ভ বেঞ্চেই কাটিয়ে দিয়েছেন। এর পর সেন্ট পাউলি, স্টুর্টগার্ট হয়ে ফ্রাংকফুর্টে। সিটিতে এসেও প্রিমিয়ার লিগে গোলের প্রথম খাতা খুললেন তিনি হ্যাটট্রিক ম্যাচ দিয়ে। 

সিটির হয়ে টানা তিন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ১১ বার হ্যাটট্রিক করেছেন আর্লিং হালান্ড। এবার তাঁর সঙ্গ বোধ হয় আরেক হ্যাটট্রিক ম্যানকে পেয়ে গেলেন পেপ গার্দিওলা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ