মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
Published: 17th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে অজ্ঞাত গাড়ির সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্ক সংলগ্ন ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুড়াচক বাউশিয়া গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে নাইম মৃধা (২৫) ও মধ্য বাউশিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সজিব প্রধান (২৩)। আহত অপরজন পুড়াচক বাউশিয়া গ্রামের হাসান জাহাঙ্গীরের ছেলে হামজা (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল তিন আরোহী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের পরিবারের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে নাইম মৃধা এবং সজীব প্রধান মারা যান।
গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন বলেন, ঢাকা নেওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত দুজন মারা যান। গুরুতর আহত অপরজনকেও ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে হাইওয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি। মোটরসাইকেলটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ধারণা করছি কোনো একটি গাড়ি পেছনে ধাক্কা দিয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?