মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে অজ্ঞাত গাড়ির সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্ক সংলগ্ন ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুড়াচক বাউশিয়া গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে নাইম মৃধা (২৫) ও মধ্য বাউশিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সজিব প্রধান (২৩)। আহত অপরজন পুড়াচক বাউশিয়া গ্রামের হাসান জাহাঙ্গীরের ছেলে হামজা (২২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল তিন আরোহী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের পরিবারের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে নাইম মৃধা এবং সজীব প্রধান মারা যান।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন বলেন, ঢাকা নেওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত দুজন মারা যান। গুরুতর আহত অপরজনকেও ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে হাইওয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি। মোটরসাইকেলটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ধারণা করছি কোনো একটি গাড়ি পেছনে ধাক্কা দিয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ