বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদের সঙ্গে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি পদ একই সঙ্গে আঁকড়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয়।
বছর পর বছর এই দুই পদে সমানতালে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। যা নিয়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হতো নিয়মিতই। কিন্তু পদের মায়া ছাড়তে না পারায় কড়া সমালোচনাও গায়ে মাখাননি দুর্জয়। সেই পথে হাঁটলেন না পাইলট।
সম্প্রতি বিসিবি নির্বাচনে ক্যাটাগরি ৩ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হন পাইলট। এর আগে তিনি কোয়াবের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ মনে করায় কোয়াব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পাইলট। রোববার (১৯ অক্টোবর) কোয়াবের সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
চিঠিতে পাইলট লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মান ও গর্বের বিষয় ছিল। সম্প্রতি আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি।’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘উভয় সংস্থার স্বচ্ছতা ও অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য আমি কোয়াবের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত মনে করছি। অতএব, আমি কোয়াবের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করছি।’’
বিসিবি নির্বাচনে ক্যাটাগরি-৩ এ ছিলেন বিশেষ সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাবোর্ড, সার্ভিসেস দল। ৪৫ জনের মধ্যে ভোট দেন ৪৩ জন। ৫ জন ই-ভোট এবং ৩৭ জন সশরীরে ভোট দিয়েছেন। যেখানে খালেদ মাসুদ পেয়েছিলেন ৩৫ ভোট। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দেবব্রত পাল ৭ ভোট পেয়েছিলেন। বাকি একটি ভোট বাতিল হয়েছে বলে জানা যায়।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য প ইলট
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও হবে একই দিন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তার ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ২০ দিন সময় রয়েছে।
ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
ঢাকা/রাজীব