১৩ দিন পর জানা গেল শিশু ধর্ষণের ঘটনা, আসামি গ্রেপ্তার
Published: 19th, October 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার শিশুটি তার মা–বাবাকে জানায়, ১৩ দিন আগে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বলরাম দাসের (৫০) বাড়ি শ্রীপুর উপজেলায়। তিনি পেশায় নরসুন্দর। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটির মা–বাবা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। তাঁরা কর্মস্থলে থাকার সময় ৫ অক্টোবর মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলরাম দাস। তিনি শিশুটির প্রতিবেশী। নির্যাতনের কথা তখন শিশুটি কাউকে জানায়নি। গতকাল শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে নির্যাতনের ঘটনা মা–বাবাকে জানায়। শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দিলে বলরাম দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণচেষ্টার সন্দেহে গ্রেপ্তার ইংল্যান্ড দলের সাবেক খেলোয়াড়
ইংল্যান্ড ও প্রিমিয়ার লিগের সাবেক এক ফুটবলারকে ধর্ষণচেষ্টার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন এই খেলোয়াড় ২০১০-এর দশকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁকে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার করার খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান।
আইনি কারণে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইএসপিএন জানিয়েছে, তারা খেলোয়াড়ের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নাম প্রকাশ করতে পারছে না।
এসেক্স পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলাকালে তাকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিক পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন১৪ মাস পর জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত আলভেজ২০ মার্চ ২০২৪সানকে সূত্র জানিয়েছে, গত রোববার সাবেক এই ফুটবলার একটি ফ্লাইটে ওঠার আগে পাসপোর্ট কন্ট্রোল পয়েন্টে সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন। সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী তিনি একটি পুরোনো ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তারকৃত কারও নাম সাধারণত পুলিশ প্রকাশ বা নিশ্চিত করে না। ২০১২ সালে লেভেসন তদন্তের পর এই নীতি চালু হয়, যেখানে সুপারিশ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনের নাম শুধু ‘বিশেষ ও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত পরিস্থিতি’তে প্রকাশ করা উচিত। সাধারণত কোনো সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তার নাম প্রকাশ করা হয়।