গাজীপুরের শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার শিশুটি তার মা–বাবাকে জানায়, ১৩ দিন আগে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার বলরাম দাসের (৫০) বাড়ি শ্রীপুর উপজেলায়। তিনি পেশায় নরসুন্দর। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানার পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটির মা–বাবা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। তাঁরা কর্মস্থলে থাকার সময় ৫ অক্টোবর মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলরাম দাস। তিনি শিশুটির প্রতিবেশী। নির্যাতনের কথা তখন শিশুটি কাউকে জানায়নি। গতকাল শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে নির্যাতনের ঘটনা মা–বাবাকে জানায়। শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দিলে বলরাম দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে যুবদলের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

রূপগঞ্জে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাছের ঘের দখল ও মহিলা দলের সমাবেশে লোকজন না নেওয়া কে কেন্দ্র করে  যুবদলের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কেন্দয়া, (মস্তাপুর) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও মাছ চাষের ঘের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবদল নেতা কাউসার মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ যুবদল নেতা বাদশা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এছাড়া শনিবার দুপুরে কাঞ্চন ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা দলের সমাবেশে লোকজন না নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়ার ওপর কাউসার মিয়ার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়।

এসব ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাদশা, খোকন, তরিকুল, ডালিমসহ কয়েকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পুলিশের দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ