আড়াইহাজারে স্থানীয় এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ কথিত আওয়ামী লীগের নেতা স্থানীয় মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উল্যাহ আমানের ছোট ভাই ছানাউল্যাহ ওরফে ছানা।

তিনি ৫ আগস্টের পর এলাকা থেকে ‘গা’ দেন। পরে সুযোগ বুঝে তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাছুম শিকারীর হাত ধরে বিএনপির একাংশের সঙ্গে শখতা গড়ে তোলেন।

বর্তমানে তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করাসহ এলাকায় ফের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। স্থানীয় বিএনপির বড় একটি অংশের অভিযোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরকে এলাকায় পুর্নভাসন করেছেন। এতে বিএনপির কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এনিয়ে যেকোন সময় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরো জানান, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ সালে বিএনপির ক্লিনইমেজের নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাড়িতে হামলার ভাংচুর করে কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় ছানার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।

এসময় বাধা দিতে গেছে সন্ত্রাসীরা আমির হোসেনের ৩ মাসের শিশু সাইফকে জবাই করার চেষ্টা করে। এসময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ওইদিন পুলিশ থানায় মামলা পর্যন্ত নেই। সম্প্রতি, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াসহ ছানাকে এলাকা থেকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে সে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ ঘটনার পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাছুম শিকারীর ইন্ধনে ছানা আড়াইহাজার থানায় আমির হোসেনকে সহ স্থানীয় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।

এনিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমির হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭টি বছর আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করা সহ কয়েকবার বাড়িঘর লুটপাট কররে ছানা নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এখন দলের লোকজনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের দোসর ছানা এলাকায় দাপড়ে বেড়াচ্ছেন।

এটা খুবই দুঃখজনক। আমি একজন বিএনপির কর্মী হিসাবে দাবী করছি ছানাকে দ্রুত আাইনের আওতায় আনা হোক। এদিকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, ছানা আওয়ামী লীগের নেতা, সেটা আমার জানা ছিলনা। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ থ ন য় ব এনপ র ন ত স থ ন য় ব এনপ র আম র হ স ন ন ব এনপ র ন ত কর ম এল ক য় ব যবস আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

৫ম দফায় জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে: আলী রীয়াজ 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “জুলাই বীর যোদ্ধাদের সাথে গতকালের আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে।” 

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত এসব কথা বলেন তিনি। এসময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন। এতে বলা হয়েছে, “গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।”

কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ম দফায় জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে: আলী রীয়াজ 
  • শিল্পপতি বাবুলের পক্ষে গণসংযোগ
  • শিল্পপতি বাবুলের পক্ষ থেকে গণসংযোগ