বান্দরবানের লামার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত ২৫ রাবার শ্রমিককে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে শ্রমিকদের ছাড়িয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একই উপজেলার ফাসিয়াখালী মুরুং ঝিরি পাড়া এলাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মুক্তি পাওয়া শ্রমিকরা হলেন- মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো.

সিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, মনিরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. মোবারক, মো. হারুন, সৈয়দ নুর, রমিজ উদ্দিন, মো. কায়ছার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মঞ্জুর, আফসার আলী, মো. খাইরুল আমিন, আবু বক্কর, আবদুর রাজ্জাক ও মো. মবিনের নাম জানা গেছে। তারা কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে মুরুং ঝিরি পাড়া থেকে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অভিযানে টের পেয়ে স্থান পরিবর্তন করতে থাকলে ২৬ জনের মধ্যে একজন পালিয়ে আসে। অবশিষ্ট ২৫ জন শ্রমিককে ভোরে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

রাবার কোম্পানি মালিক ফোরকান জানান, দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে। ছাড়ার আগে শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছেড়ে দেওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ১০ জনকে কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা এতটা গুরুতর নয় বলে জানান তিনি।

সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে অপহৃত ২৫ জন রাবার শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। 

বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে খবর পেয়েছি। তারা ছাড়া পেয়ে নিজ বাড়িতে চলে গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন অপহরণ অপহরণক র র ব ন দরব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফে ফসলি জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ হওয়া কৃষক মো. ফরিদ উল্লাহ (৪৩) মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকায় তাঁকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা ফরিদ উল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছেন। ফরিদকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র, গুলিসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রিদুয়ান (২০)। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। গত শনিবার রাতে মো. ফরিদ উল্লাহকে অপহরণ করা হয়। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীখালী এলাকার মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় ফসলি খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদ উল্লাহ। এ সময় তাঁকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পাশের পাহাড়ে নিয়ে যান অপহরণকারীরা। রাতে ঘটনাটি ফরিদের পরিবার থেকে পুলিশকে অবহিত করা হয়। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযানে যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদকে ছেড়ে দিয়ে পালাচ্ছিলেন অপহরণকারীরা। এ সময় ধাওয়া দিয়ে একটি বন্দুক, চারটি গুলিসহ মো. রিদুয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, রিদুয়ান চিহ্নিত মাদক কারবারি। এর পাশাপাশি অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ফরিদের স্ত্রী বাদী হয়ে রিদুয়ানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। রিদুয়ানকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার হওয়া ফরিদ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
  • অপহৃতকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র ও গুলিসহ অপহরণকারী আটক
  • ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার