‘এখনকার খেলোয়াড়েরা তো সব ম্যাকডোনাল্ডস-কেএফসি প্রজন্ম’
Published: 19th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ম্যাচ কোনটি? অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ।
রোববার দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী। রাজনৈতিক ও ক্রিকেটীয় সম্পর্ক বৈরী হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ কমই দেখা যায়। ওয়াসিম আকরাম-শচীন টেন্ডুলকারদের সময়ে মাঠে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ ছিল, তা এখন যেন কিছুটা মিইয়ে গেছে। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আগ্রাসন এখন খুব বেশি চোখে পড়ে না।
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর দিনে র্যাঙ্কিংয়ে বড় পরিবর্তন২ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগেও ছিল, তবে সেটা এক পাশে সরিয়ে রেখেই মাঠের লড়াইয়ে আগ্রাসন দেখা যেত। জাভেদ মিঁয়াদাদ-কিরণ মোরে, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ-আমির সোহেল, শহীদ আফ্রিদি-গৌতম গম্ভীর—এমন ছোট ছোট অনেক দ্বৈরথেরই নাম বলা যাবে, যেখানে তাঁরা মাঠের লড়াইয়ে একে-অপরকে চোখ রাঙিয়েছেন, জড়িয়েছেন বাগযুদ্ধে। সময় গড়িয়ে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই দ্বৈরথে এখন সেসব প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বললেই চলে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে স্টার স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির কাছে। মাঠে এখনকার ক্রিকেটারদের মধ্যে কেন আগ্রাসন দেখা যায় না? এই প্রশ্নের উত্তরে আফ্রিদি মজা করে বলেছেন, ‘এখনকার খেলোয়াড়েরা তো সব ম্যাকডোনাল্ডস ও কেএফসি প্রজন্ম।’
আফ্রিদির এই কথার প্রতিক্রিয়ায় দর্শকসারি থেকে বলা হয়, ‘আগ্রাসন দেখানোর মতো ফিটনেসই তাঁদের নেই।’ এ সময় মঞ্চে অতিথির সারিতে আফ্রিদির সঙ্গে বসে থাকা ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং সেই মজা করে বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে আর কথা বলবেন না।’
আরও পড়ুনভারতীয়দের সব প্রশ্নেই নাহিদ রানা৪০ মিনিট আগেখেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে মাঠে অসাধারণ ফিল্ডার হলেও ফিটনেস ঠিক রাখতে একটা সময় স্ট্রেচিংয়ে তেমন আগ্রহী ছিলেন না যুবরাজ। ফিটনেসের প্রসঙ্গ তুলে সেসব স্মৃতি আর টেনে আনার দরকার নেই, মজার ছলে যেন এমনটাই বোঝালেন।
ভারতকে হারিয়ে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টন স
এছাড়াও পড়ুন:
অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে নীলচক্র দেখতে বলছেন, কী আছে এই সিনেমায়?
সিনেমা হলে বসে বাবা সন্তানের হাত ধরছেন, এক তরুণী মুছছেন চোখের কোণ, পেছনের সারিতে একজন মা কানে কানে ছেলের সঙ্গে কিছু বলছেন; এমন দৃশ্য এখন দেখা যাচ্ছে ঈদের ‘নীলচক্র’ দেখতে গিয়ে।
দর্শক বলছেন ‘নীলচক্র’ শুধু বিনোদনের সিনেমা নয়, এটা সমাসাময়িক গল্পের এমন একটি সাসপেন্স থ্রিলার যা, এখনকার ইন্টারনেট প্রজন্মকে সচেতন করছে।
এই যেমন বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে বের হওয়া এক অভিভাবক ‘নীলচক্র’ সিনেমা দেখে বলছিলেন, ‘আমার মেয়ে মোবাইলে ব্যস্ত থাকে সবসময়, সেটা নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। আজ একসঙ্গে আমরা সিনেমাটি উপভোগ করলাম। ইন্টারনেটের একটা ভুল কিভাবে আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে সেটা দেখলাম। সিনেমা শেষে ও নিজে থেকে আমার কাঁধে মাথা রাখল। কিছু বলার ছিল না,শুধু অনুভব করলাম, ‘নীলচক্র’ আমাদের আরও কাছাকাছি এনে দিল।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ‘নীলচক্র’ দেখে ফেরা একদল তরুণী বলছিলেন, ‘সিনেমাটি দেখে আমার মধ্যে সচেতনতা এসেছে। আমার একটা ব্যক্তিগত ভিডিও কিংবা ছবি আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে সেই ধারণা এলো। সিনেমায় আরিফিন শুভ দারুণ অভিনয় করেছেন, তাঁকে ও পরিচালককে ধন্যবাদ আমাদের দেশে আমার দেশের জন্য দরকারী এমন একটি গল্প নিয়ে সিনেমা করার জন্য।’
একজন মা এসেছিলেন সিনেমাটি দেখতে। তিনি বলছেন, ‘আমি সিনেমাটি দারুণ উপভোগ করেছি। আমাদের সমাজের জন্য খুব দরকারী গল্পের এই সিনেমা। আমার পরিবারে ছেলে ও মেয়ে আছে তরুণ। আমি তাঁদের নিয়ে এই সিনেমাটি আবার দেখব শুধুমাত্র সচেতনার জন্য।’
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসায় ভাসছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। এই সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘এই গল্প এখনকার। ইন্টারনেট যুগে একটা অসাবধান ক্লিক পুরো জীবন বদলে দিতে পারে। এটাই দেখানো হয়েছে। সাহসী বলেই করেছি, দরকারি বলেই করেছি। অনেকেই সিনেমাটি প্লট দেখে প্রশংসা করছেন জেনে ভাল লাগছে। অভিভাবক হোন বা তরুণ, যারা অনলাইনে থাকেন, সবারই দেখা উচিত। চোখ বন্ধ রাখলে বিপদ থেমে থাকে না।’
একটা ক্লিক, একটা ভিডিও, আর তাতেই পাল্টে যাচ্ছে জীবনের গতিপথ। শহরজুড়ে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও। অন্ধকার, আতঙ্ক আর টানটান উত্তেজনায় মোড়ানো এক সময়ের গল্প নিয়ে পরিচালক মিঠু খানের ‘নীলচক্র: ব্লু সার্কেল’ এ এবার পর্দায় ফিরছেন আরিফিন শুভ। তাঁর বিপরীতে আছে মন্দিরা চক্রবর্তী।