গবেষক, লেখক রিয়াজুল হকের নতুন গবেষণাধর্মী বই ‘দ্য আর্ট অব পিস’ অমর একুশে বইমেলায় এসেছে। বইটি অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মো. জহিরুল হক।

লেখক রিয়াজুল হক বলেন, ‘‘আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ধারণা রয়েছে যে, পবিত্র কুরআন মনে হয় শুধু জান্নাতের শান্তির কথা বলা বলেছে। বিষয়টা আসলে সেরকম নয়। দুনিয়ায় কীভাবে শান্তিতে থাকা যায়, কুরআনে সেই কথাও উল্লেখ আছে। কারণ দুনিয়ায় শান্তিতে না থাকতে পারলে আপনি কোনকিছুই ঠিক মতো করতে পারবেন না। এমনকি ঠিক মতো ইবাদত করার জন্য হলেও শান্তিতে থাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ পরকালের প্রয়োজনেই দুনিয়ায় শান্তিতে থাকা দরকার।’’

অন্বেষা প্রকাশনের প্রকাশক মো.

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘‘পৃথিবীর বুকে কীভাবে শান্তিতে থাকা যায়, সেসব বিষয়ে গ্রন্থটিতে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ দিনশেষে আমরা সবাই শান্তি খোঁজে থাকি।’’

আরো পড়ুন:

একুশে বইমেলায় ফাল্গুনী তানিয়া`র তিন বই

বইমেলায় জোবায়ের মিলনের গল্পগ্রন্থ ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’

দ্য আর্ট অব পিস' বইটি অন্বেষার ওয়েবসাইট, রকমারিসহ অমর একুশে বইমেলায় অন্বেষার প্রকাশনের ৭০৯-৭১২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল য অন ব ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ