Prothomalo:
2025-06-15@22:47:15 GMT

শিক্ষক নিয়োগে সংকট দূর করুন

Published: 22nd, February 2025 GMT

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যে শুধু বাংলা ভাষা নয়, সব জাতিসত্তার ভাষার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি উচ্চারিত হয়। সে লক্ষ্যে বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও দেশের অন্যান্য কিছু জাতিসত্তার ভাষাতেও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে আসছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ওঁরাও, মুন্ডা, রাজোয়ারসহ কয়েকটি জাতিসত্তার মানুষের সাদরি ভাষা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাদরি ভাষার বই পড়ানোর মতো কোনো শিক্ষক নেই। ফলে সাদরিভাষী শিশুরা সেসব বই পড়তে পারছে না। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সাদরি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে আসছে এনসিটিবি। সেসব বই পাঠানোও হচ্ছে সাদরিভাষী বিভিন্ন জাতিসত্তার বসবাসের জেলাগুলোতে। ওঁরাও, মুন্ডা, মাহাতো, রাজোয়ারসহ কয়েকটি জাতিসত্তার মানুষ এ সাদরি ভাষায় কথা বলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও সদর উপজেলায় সাদরিভাষী জাতিসত্তাগুলোর প্রায় ১০০টি গ্রাম আছে। বই গেলেও শিক্ষক না থাকায় এসব গ্রামের শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাতৃভাষার অনেক শব্দ, সংস্কৃতি কিংবা পালাপার্বণ তাদের কাছে অজানা।

নাচোলের স্থানীয় দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, সাদরিভাষী শিশুরা ওই ভাষায় বই পড়তে চায় না। তাই তাঁরা সাদরি ভাষার বইয়ের চাহিদাও পাঠাননি। কিন্তু বিষয় হচ্ছে এ ভাষায় যে বই প্রকাশিত হয়েছে, সেটিই জানে না সাদরিভাষী অনেক শিক্ষার্থী। অথচ মাতৃভাষায় পড়তে তারা আগ্রহী। আবার অনেকগুলো বিদ্যালয়ে ঠিকই সাদরি ভাষার বই গেছে। সেসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, তঁাদের বিদ্যালয়গুলোর মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার। সাদরি ভাষার বই পেলেও তাদের শিক্ষকের সংখ্যা কম এবং প্রশিক্ষণও নেই। ফলে সে ভাষায় পাঠদানের বিষয়টি নিয়ে একপ্রকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ওঁরাওদের সামাজিক সংগঠন দিঘরী পরিষদ গোমস্তাপুর উপজেলা শাখার নেতারা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবি সরকার ২০১৫ সালেই মেনে নেয়। কিন্তু আজও সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আসলে আমরা চরম অবহেলার শিকার।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.

জেছের আলী জানান, ‘সাদরি ভাষায় বই ছাপানো এবং শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া মাতৃভাষায় শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি এক ধাপ অগ্রগতি বলে মনে করি। ধাপে ধাপেই কাজ এগোয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।’

আমরা আশা করব, সাদরি ভাষার শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সাদরিভাষী এতগুলো জাতিসত্তার শিশুরা মাতৃভাষায় পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হবে, তা কোনোভাবে মানা যায় না। দেশের সব জাতিসত্তার শিশুরা নিজ নিজ মাতৃভাষায় পড়াশোনা করবে, নিজের মাতৃভাষা জানবে ও শিখবে—এটিই তো আমাদের ভাষা আন্দোলনের চেতনা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ষ র বই স দর ভ ষ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ