উপদেষ্টা নাহিদ-মাহফুজের সঙ্গে আখতার হোসেনের হাস্যোজ্জ্বল ছবি, অর্থ কী?
Published: 22nd, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে গঠিত হচ্ছে ছাত্র-জনতার রাজনৈতিক দল। চলতি মাসে দলটির ঘোষণা আসবে বলে আগেই জানিয়েছেন সংগঠকরা। তবে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে হঠাৎ দেখা দেয় জটিলতা। প্রধান দুই পদের স্টেক নিয়ে বিরোধে জড়ালে প্রকাশ্যে আসে একাধিক গ্রুপ। শঙ্কা ঘনীভূত হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য নিয়ে। এর মধ্যে অ্যাক্টিভিস্টদের নানা কথায় জল গড়িয়েছে অনেক দূর।
ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দলে আলোচিত প্রার্থীদের অন্যতম ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থীর রয়েছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা। তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে অনুসারীদের অনেকে ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন। যদিও এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি আখতারকে। তবে আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি শেয়ার করেছেন আখতার হোসেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন- ‘দুইজন বন্ধু, একজন ছোটভাই! জাতির প্রত্যাশার ভাষা আমাদের পাথেয় হোক।’
ছবিটি দুই উপদেষ্টাকে মেনশনও করেছেন আখতার হোসেন। স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেছেন- এবার কি তাহলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে গেল? ছাত্র-জনতার নতুন দলের প্রধান দুই পদে আসছেন নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে কেবল নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা এলেই। তবে ছবিটির প্রতীকী একটি অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করলে হয়তো ব্যাপারটি দাঁড়ায়- দুই পাশে দুই কাণ্ডারি নিয়ে মাঝে ‘মাস্টারমাইন্ড’। অর্থ্যাৎ নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম আর সদস্য সচিব হচ্ছেন ‘স্বচ্ছ ইমেজের নেতা’ হিসেবে পরিচিত আখতার হোসেন।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র মনে করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহফুজ আলমকে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম আখত র হ স ন ছ ত র জনত র আখত র হ স ন উপদ ষ ট কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।