বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রনি মিয়ার বাড়িতে হাত বোমা ও পেট্রোল বোমা হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা৷ এ সময় যুবদল নেতা রনিকে বাড়িতে ঢুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সোমবার সন্ধ‌্যায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দেওয়ানতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রনি বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় অন্তত ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনে নেমেই পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণে বাড়িতে আগুন লে‌গে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও ক‌য়েক‌টি অবিস্ফোরিত ককটেল নিস্ক্রিয় করে।

যুবদল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়কের আমতলীতে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের শান্ত করতে ঘটনাস্থ‌লে যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহেআলম। 

আরো পড়ুন:

লেবাননে বোমা হামলায় বাংলাদেশি নিহত

গাজীপুরে ভূমি অফিসে বোমা আতঙ্ক

পরে শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ ঘটনাস্হলে এসে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। 

এ বিষ‌য়ে শিবগঞ্জ থানার ও‌সি শাহীনুজ্জামান ব‌লেন, ‘‘বর্তমা‌নে প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক। দুর্বৃত্তরা কক‌টেল ও পে‌ট্রোল বোমা বা‌ড়ি লক্ষ‌্য ক‌রে নি‌ক্ষেপ ক‌রে। ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত‌দের ক‌য়েক জ‌নের নাম আমরা পে‌য়ে‌ছি। ত‌বে তদ‌ন্তের স্বা‌র্থে আমরা এখনই সেটা প্রকাশ কর‌ছি না। জ‌ড়িত‌দের গ্রেপ্তা‌রে চেষ্টা চল‌ছে।’’ 

ঢাকা/এনাম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বগঞ জ য বদল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো. ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার