বগুড়া যুবদল নেতার বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা, আহত ১
Published: 24th, February 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রনি মিয়ার বাড়িতে হাত বোমা ও পেট্রোল বোমা হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা৷ এ সময় যুবদল নেতা রনিকে বাড়িতে ঢুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দেওয়ানতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রনি বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় অন্তত ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনে নেমেই পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল নিস্ক্রিয় করে।
যুবদল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়কের আমতলীতে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের শান্ত করতে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহেআলম।
আরো পড়ুন:
লেবাননে বোমা হামলায় বাংলাদেশি নিহত
গাজীপুরে ভূমি অফিসে বোমা আতঙ্ক
পরে শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ ঘটনাস্হলে এসে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দুর্বৃত্তরা ককটেল ও পেট্রোল বোমা বাড়ি লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে। ঘটনার সাথে জড়িতদের কয়েক জনের নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই সেটা প্রকাশ করছি না। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বগঞ জ য বদল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র দিয়ে ডাকাত তকমা, উদ্ধার করল নৌবাহিনী
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ডাকাত তকমা দিয়ে দু’জনকে পিটিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দেশীয় অস্ত্র। ছবি তুলে ও ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে রাখে। যদিও অনেকেই জানতেন না, ঘটনাটি সাজানো। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল আহত দু’জনকে উদ্ধার করে। সোমবার রাতে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধার দু’জন হলেন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরহেয়ার এলাকার মজিবুল হকের ছেলে আরিফ হোসেন এবং একই ইউনিয়নের মোল্লাবাজার এলাকার মো. আশরাফের ছেলে মো. আসিফ। এদের মধ্যে আরিফ পেশায় রিকশাচালক।
স্থানীয়রা জানান, জাহাজমারা আমতলী বাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার চর দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন জহির চেরাং, অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন কাউসার। কাউসারপক্ষ অনেক দিন থেকে চরটির দখল নিয়ে আছে। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে জহির চেরাংয়ের লোকজন চরটির দখল নেওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়। পরে প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও দু’জনকে ধরে তারা বাজারে নিয়ে আসে। পরে ওই দু’জনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পরিকল্পিতভাবে ডাকাত নাটক সাজানো হয়।
ছবি তুলে ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল অবরুদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নৌবাহিনী ও পুলিশের দুটি গোয়েন্দা দলের তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।
আসিফের বাবা আশরাফ জানান, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত নেই। অথচ তাঁকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে নিরপরাধ দাবি করেন তিনি।
আমতলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লিটন জানান, চরের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। পরে নৌবাহিনী এসে তাদের নিয়ে যায়। তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কিনা, তাঁর জানা নেই।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, উদ্ধার দু’জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।