অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ
Published: 25th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েট সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।
এদিকে, কুয়েট শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে প্রবেশ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড.
কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন। তবে, কমিটিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আরো ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি এবং কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় বৃদ্ধি করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে। পরে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য র র ব সভবন
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।