প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গেট অবরোধ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী
Published: 26th, February 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের ফটক অবরোধের জেরে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ৫টি জিপে করে সেনাসদস্যরা ১ নম্বর ফটকের সামনে এসে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুরে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের একাংশ। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের মাসিক ভাতাসহ মোট ৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বিছানা বিছিয়ে শুয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় আহতদের তালিকার ক্যাটাগরি পুনর্বিন্যাস, সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সরকারি সেবা প্রাপ্তির হটলাইন চালুর দাবি জানান তারা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাঁধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলো।
এ সময় উপদেষ্টার কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।