প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘‘অনেক তরুণ সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করছেন, যারা সাংবাদিকতায় আসেন না।’ 

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজশাহীর সাংবাদিক মাসুমা ইসলামের স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

এসময় প্রেস সচিব বলেন, ‘‘মাসুমা একজন নারী হয়ে তৃণমূল সাংবাদিকতায় যে উদাহরণটা তৈরি করেছেন, তা সামনে রেখে অনেক তরুণ সাংবাদিকতা পেশায় আসতে উৎসাহিত হবেন।’’ তিনি সাংবাদিক মাসুমার স্মৃতি রক্ষার্থে নারী জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড চালুর আহ্বান জানান।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘‘সাংবাদিক মাসুমার শুন্যতা কখনই পূরণ হওয়ার নয়। উত্তরাঞ্চলে নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাসুমা যে সাংবাদিকতা করে গেছেন তা স্মরণীয়। মাসুমা তার জীবদ্দশায় সাংবাদিকতায় অনেক বড় ভূমিকা রেখে গেছেন।’’

শোকসভায় রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এনটিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শ.

ম সাজু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আহসান হাবীব অপু, দেশ টিভির রাজশাহী প্রধান কাজী শাহেদ, এসএ টিভির ব্যুরো প্রধান জিয়াউল গনি সেলিমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন টেলিভিশনের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত য়

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ