বসুন্ধরা কিংসে রিয়াল-লিভারপুলে খেলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার
Published: 28th, February 2025 GMT
আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে বড় চমক দেখিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের যুব দলে খেলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুয়ান লেসকানোকে দলে নিয়েছে বাংলাদেশি ক্লাবটি।
মধ্যবর্তী দলবদলের শেষ দিনে লেসকানোর নাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) জমা দিয়েছে কিংস। ৩২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় পর্বের বাকি ম্যাচগুলোতে মাঠে নামবেন দেশের ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী ক্লাবের হয়ে।
আর্জেন্টিনায় জন্ম হলেও লেসকানোর ফুটবল যাত্রা শুরু হয় স্পেনের ক্লাব ইন্টার দি মাদ্রিদে। এরপর লিভারপুলের যুব দলে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তিনি। পরে ফিরে যান স্পেনে এবং যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলে। ইউরোপের সফলতম ক্লাবের যুব দলে ২০১০-১১ মৌসুমে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
লেসকানোর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আহলিতে। এরপর খেলেছেন সুইজারল্যান্ডের এফসি লুগানোসহ আরও কয়েকটি ক্লাবে। সর্বশেষ চীনের ক্লাব চংকিং টংলিয়াংলং এফসিতে খেলেছেন তিনি।
বসুন্ধরা কিংসের আক্রমণভাগে গোলের খরা কাটাতেই লেসকানোকে দলে টেনেছে ক্লাবটি। শিগগিরই ঢাকায় আসবেন তিনি। তার সঙ্গে দলে ফিরছেন উজবেক মিডফিল্ডার আসরোর গফুরভ। এছাড়াও কিংসের স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন এক ব্রাজিলিয়ান সেন্টার ব্যাক এবং ঘানার এক উইঙ্গার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র য ব দল
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।