দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

শনিবার (১ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬.

৯৩ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৩৪ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.০৮ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৮.৪৪ পয়েন্ট বা ১.৭৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ০.৫১ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬১টির, দর কমেছে ১৮০টির ও দর অপরিবর্তিত ২৯ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৫টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৪.৪০ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.১৬ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৯২৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮৪ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৫৩ শতাংশ বেড়ে ৯৪৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির, দর কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল নদ ন ব ড় ছ ব জ র ম লধন ড এসইত স এসইত স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা ৩ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। এর আগে টানা ৮ কার্যদিবস সূচকের উত্থান হয়েছিল।

এ দিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৭.৬০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দুই পরিচালক কিনছেন পৌনে ১৮ লাখ শেয়ার

ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টি কোম্পানির, কমেছে ২৫০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪টির।

এ দিন ডিএসইতে মোট ৭১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮০৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৪.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫.৪৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.২৭ পয়েন্ট কমে ৯৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯৫.৬৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।

সিএসইতে ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন
  • এসএমই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ, বেতন ৩১,৬২০ থেকে ৫৪,২৫০ টাকা
  • এবি ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ
  • পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন