শুটিংয়ের মেকআপ রুমে বসে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি চিত্রনাট্য দেখছিলেন। পাশেই মেকআপ নিচ্ছিলেন ফারুক আহমেদ। হঠাৎ এই অভিনেতার দিকে তাকিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘ফারুক তোমাকে কিন্তু কুয়ায় ঝাঁপ দিতে হবে।’ হুমায়ূন আহমেদের মুখে কুয়ায় ঝাঁপ দেওয়ার কথায় ভয়ে পেয়ে যান ফারুক আহমেদ।

এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি চিত্রনাট্য আবার পড়লাম। হুমায়ূন ভাই কুয়ায় ঝাঁপ দেওয়ার কথা বলায়, দৃশ্যটাকে সিরিয়াসলি নিলাম। ধরেই নিলাম, ভাই যেহেতু বলছেন ঝাঁপ দেওয়ার কথা, তাহলে তো ঝাঁপ দিতেই হবে। তখনো আমি কুয়া দেখিনি। আমাদের শুটিং হয়েছিল ডিএফপি অডিটরিয়ামে। তখন ভয়ে ভয়ে কুয়া খুঁজতে বের হলাম। কুয়ার কত গভীরতা, পানি কেমন—এই সব বিষয় মাথায় ঘুরছিল। ঝাঁপ দিলে কোনো ক্ষতি হয় কি না, এগুলো নিয়ে ভাবছিলাম। পরে দেখি, আরে ছোট্ট একটা কুয়া। শুটিংয়ের জন্য সেট হিসেবে বানানো হয়েছে। নিচে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করা। অল্প পানি দিলে মনে হয় অনেক পানি।’

হুমায়ূন আহমেদ ও ফারুক আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ম য় ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”

এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ