রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৭ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আদাবর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন শহিদুজ্জামান ওয়ারেসি সুজন (৪৬), ওসমান গনি (২৪), আবু বক্কর সজীব (২২), ওলি খান (২১) ও অনিক আহম্মেদ (২৯)।

এ ছাড়া অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মোরশেদা আক্তার (৩৮), মুন্না ইসলাম (২৩), আদনান হোসেন ইমন (২৪), ইব্রাহিম (২৭), আল আমিন (১৯), ইমন (২৫), হাবিবুর রহমান হাবু (৩৪), রবিউল আউয়াল (২১), খোরশেদ আলম (২৮), আল আমিন ওরফে রুবেল (২৭), সজল (২২),  রেজওয়ান ওরফে ঈশান (১৬), সিফাত ওরফে মুসা (১৯), শিমুল (২০), পারভেজ মিয়া (২৬), হৃদয় (২৬), আবু রায়হান (২৮), সাগির (৫২),  আবু বক্কর সিদ্দিক (৪২), শহীদ মিয়া (৩৫), হৃদয় (১৮) ও সেলিম (৩২)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৭০টি ইয়াবা, ১৭০ পুরিয়া গাঁজা ও ২টি স্টিলের চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ