আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ
Published: 17th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে সেই ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে লিটন দাসের দল। শুধু টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই নয়, এই জয়ের পর আইসিসির কাছ থেকেও মিলেছে সুখবর।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত আইসিসি’র সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে একধাপ এগিয়ে নবম স্থানে উঠেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সঙ্গে সমান ২২২ রেটিং পয়েন্ট থাকলেও মোট পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় টাইগাররা নবমে উঠে আসে। ফলে আফগানরা পিছিয়ে গিয়ে ঠাই নিয়েছে দশে। বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট এখন ১২,২২৩, যেখানে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৮,২১৩।
আরো পড়ুন:
আফগানিস্তানকে হারিয়ে ‘সুপার ফোর’ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ল বাংলাদেশ
বর্তমানে ২৭১ রেটিং নিয়ে শীর্ষে ভারত, দুই নম্বরে অস্ট্রেলিয়া (২৬৬) এবং তিনে ইংল্যান্ড (২৫৭)। এরপর ক্রমান্বয়ে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান অবস্থান করছে শীর্ষ দশে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল জয় দিয়েই, হংকংকে হারিয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যায় লিটন দাসের দল। যা সুপার ফোরের সমীকরণকে জটিল করে তোলে। তবে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোয় এখনো টিকে আছে সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর। যদি শ্রীলঙ্কা জেতে, তবে সরাসরি সুপার ফোরে চলে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু আফগানিস্তান জিতলে তখন তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৪। আর হিসাবনিকাশ গড়াবে রান রেটে।
ধরুন, আফগানিস্তান আগে ব্যাট করে ২০০ রান করলে, শ্রীলঙ্কার কেবল ১২৮ রান তুললেই যথেষ্ট হবে পরের রাউন্ডে যেতে। আবার আফগানরা ১৫০ করলে, শ্রীলঙ্কার ৮৪ রান করলেই হবে। বিপরীতে যদি শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে, তবে বাংলাদেশকে সুপার ফোরে তুলতে হলে আফগানদের জিততে হবে প্রায় ১১-১২ ওভারের মধ্যে।
অর্থাৎ, মাঠের লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ নিজের কাজটা করেছে। এখন শুধু বাকি দলের ম্যাচ ফলের অপেক্ষা- যা ঠিক করে দেবে টাইগারদের স্বপ্নপূরণের পথ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী