অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
Published: 17th, September 2025 GMT
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফর ২২ সেপ্টেম্বর, সঙ্গী মির্জা ফখরুলসহ চার রাজনীতিক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ
প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এরই মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।”
বাসস লিখেছে, প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।
তিনি বলেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনি উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।
“জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর,’ বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
“ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন বলে জানিয়েছে বাসস।
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তার সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান
বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইইউ ইউর প য় র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে ।
এ উপলক্ষে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সরকার আশরাফুল ইসলাম, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, উপজেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, সমবায় হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
তারা আরও বলেন, সমবায় কেবল আর্থিক সংগঠন নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলনযা একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও ন্যায্য বণ্টনের মানসিকতা তৈরি করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা সরকারি বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সমবায় খাতকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সঠিক নেতৃত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে সফল সমবায় সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সমবায় সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।