হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-শিশুসহ ৩ জন নিহত
Published: 17th, September 2025 GMT
হবিগঞ্জে একই দিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ও বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর কলেজ এলাকা এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর কলেজের সামনে বাসচাপায় নিহত হন বানিয়াচং উপজেলার সাগরদিঘির পশ্চিম পাড় মহল্লার শামীমা আক্তার (৪৫) ও তাঁর ছেলে ত্বকি (৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্ত্রী শামীমা ও ছেলে তকিকে নিয়ে দিনারপুরে এক আত্মীয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন সৈয়দ আলী মিয়া। দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তা পার হওয়ার সময় সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় শামীমা ও ত্বকি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
অন্যদিকে আজ বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওলিপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি মিনি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপ ভ্যানের চালক ফোরকান মিয়া (২৭) ঘটনাস্থলে নিহত হন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটে। তিনি সিলেট থেকে রাজধানীতে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
দুর্ঘটনার পর উভয় স্থানের মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসড়কের দুই জায়গায় দুর্ঘটনায় মোট ৩ নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত দুটি বাসই জব্দ করা হয়েছে। তবে এগুলোর চালক ও তাঁদের সহকারীরা পালিয়ে গেছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫