স্বৈরাচারের পতন হলেও তাদের ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি বলে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “স্বৈরাচারের পতন হলেও তাদের ষড়যন্ত্রের অবসান যে হয়নি, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি। সুতরাং, এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে এমন যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি রাখতে হবে।”    

আরো পড়ুন:

ইবিতে দুর্গাপূজায় পরীক্ষা স্থগিতসহ ২ দাবি সনাতনী শিক্ষার্থীদের

দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে বিশেষ অ্যাপ

তারেক রহমান বলেছেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা সমাগত। উৎসবের প্রাক্কালে আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল ভাই-বোনদের আমার আন্তরিক শুভ কামনা জানাচ্ছি।”

তিনি বলেছেন, “ঐতিহ্যগতভাবে সকলের সহযোগিতায় শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের মাধ্যমে এ দেশে ধর্মীয় সম্প্রতির এক অনুপম দৃষ্টান্ত ইতোমধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"

“কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে পলাতক বিগত স্বৈরশাসনের সুবিধাভোগীরা দুর্গোৎসবের সময় হীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে একাধিকবার ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিষ্ঠিত এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল (বিএনপি) সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের সহায়তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে।”

তিনি বলেন, “এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি সুপ্রতিষ্ঠিত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তা বিনষ্টকারী যেকোনো ঘৃণ্য অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান দৃঢ় ও সুস্পষ্ট।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র অবস

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা