ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সামগ্রিক তৎপরতায় সংগঠনের সুনাম, সুখ্যাতি, ঐতিহ্য, শৃঙ্খলা ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, যা গঠনতন্ত্রের ধারা ৬২ এর উপধারা ২ (ক) ও (খ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ নিয়ে গত সোমবার জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে থেকে দলীয় শৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতেও জামায়াতে ইসলামী দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে আপসহীন থাকবে।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসানকে (মিলন) প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে জামায়াত। কিন্তু বিগত সময় মনোনয়ন পাওয়া অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত শনিবার তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপরই অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিল জেলা জামায়াত।

জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার পদ স্থগিতের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু চিঠি পাইনি। কারও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এটি করা হয়নি।’ তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতার বিষয়টি ছাত্রশিবিরের সাবেক কিছু দায়িত্বশীল মানতে পারছিলেন না। এর মধ্যে তাঁরা একটি কর্মসূচিও করে ফেলেন। এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি সব সময় জামায়াতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মনে করেন। আশা করছেন বর্তমান অবস্থা আলোচনার মাধ্যমে কেটে যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

বিকেলে ছিল ম্যাচ হবে কি না অনিশ্চয়তা। নানা নাটকীয়তার পর অনিশ্চয়তা কেটে ম্যাচ শুরু হলো এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে বিলম্বিত ম্যাচে আর খুব বেশি অনিশ্চয়তা–নাটকীয়তার দেখা মিলল না। দুবাইয়ে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করেছে সালমান আগার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে জায়গা করেছে ভারতও। যার অর্থ, ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত–পাকিস্তান।

গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাকিস্তান–আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান গ্রুপ ম্যাচের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের শুরু ও শেষে হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

পাইক্রফট টসের সময় অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রীতিমতো এশিয়া কাপ বর্জনের আবহ তৈরি করে পিসিবি।

শেষ পর্যন্ত পাইক্রফটের ক্ষমা প্রার্থনায় গতকাল তাঁর পরিচালনায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ শুরুর সময়।

আরও পড়ুনপাকিস্তান অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট, দাবি পিসিবির৬ ঘণ্টা আগে

দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আমিরাত অধিনায়ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ফখর জামানের ৩৬ বলে ৫০ আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬। মূলত আফ্রিদির শেষ দিকের ঝোড়ো ব্যাটিংই পাকিস্তানের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যায়।

নানা নাটকীয়তার পর অ্যান্ডি পাইক্রফটই পাকিস্তান–আমিরাত ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ