খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
Published: 17th, September 2025 GMT
হাইকোর্ট থেকে অলিয়ে কামেল হজরত খাজা শরফুদ্দীন চিশতির (রহ.) মাজার স্থানান্তর করার চক্রান্ত করা হলে ভবিষ্যত পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের নেতারা।
সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেছেন, ‘‘দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর এই ঐতিহাসিক হাইকোর্ট মাজার। জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে এটি স্থানান্তরের জন্য উগ্রবাদী অপশক্তি তৎপর হয়ে উঠেছে। পবিত্র মাজার শরীফ স্থানান্তরের চক্রান্তের মাধ্যমে এ দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির সুগভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে দেশ অশান্ত ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। দেশ বাঁচাতে দ্রুত এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচার করতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এর পরিণাম ভয়াবহ হবে।’’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ সব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড.
সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মুফতি কাজী অধ্যাপক মহিউদ্দিন লতিফী আল কাদেরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মাওলানা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, মাওলানা আ ন ম মাসুদ হোসেন আল কাদেরী, আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, অধ্যাপক এম এ মোমেন, অধ্যক্ষ আজম হেলাল উদ্দীন, পীর ফকির মুসলিম উদ্দীন, গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক, মুনসুর আহমদ, পীর কুতুবউদ্দিন শাহেদ বখশি, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, ফিরোজ আলম খোকন, অ্যাডভোকেট ইকবাল হাসান, মাওলানা আশেকুর রহমান হাশেমী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুর, কাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী, তোফায়েল আহমদ, অধ্যক্ষ আবু নাসের মোহাম্মদ মুসা, এস এম তারেক হোসাইন, মুহাম্মদ হানিফ আব্দুল খালেক প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ উদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব