খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
Published: 17th, September 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে একটি মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত ও ১২ শিক্ষার্থীর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুবি প্রশাসন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শোকের দিন উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করা হলো। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজ-খবর রাখছে এবং তদবির করছে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছে। দুর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এবং প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা।
এদিকে, এ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকবৃন্দ শোকের সঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকলকে দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নেবে। ছাত্রদের নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক থেকে পর্যালোচনা চলবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড.
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত দ র ঘটন র ঘটন য় র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।