২২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেবে বিএসইসি
Published: 17th, September 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালক, সচিব, প্রধান অর্থ কর্মকর্তাসহ ১৫ ব্যক্তি এবং ৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, একমি পেস্টিসাইডসের ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের (এসইএমএল) নিবন্ধন সনদ বাতিল এবং দুই নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন ও ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) অভিযোগ দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের ওপর অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাহানা শাহীন (চেয়ারম্যান), রেজা-উর-রহমান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), আহসান হাবীব সিনহা (পরিচালক), কে এম হেলুয়াার (পরিচালক), সবুজ কুমার ঘোষ (কোম্পানি সচিব), সেলিম রেজা (চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার) এবং প্রতিবেদনে উল্লেখিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান প্লেসমেন্টহোল্ডাররা (মো. আফজাল হোসেন, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মো. মতিউর রহমান, বিক্রমপুর পটেটো ফ্লেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তফাজ্জল হোসেন ফরহাদ, জাভেদ এ মতিন, বেঙ্গল অ্যাসেটস হোল্ডিংস লিমিটেড, চিটাগাং পেস্টিসাইডস অ্যান্ড ফিশারিজ লিমিটেড, হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আঞ্জোমান আরা বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সারোয়ার, এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এমডিএ), তৌহিদা আক্তার, মো. রুহুল আজাদ এবং রানু ইসলাম) যারা শেয়ারের বিপরীতে কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এসইএমএল) প্রসপেক্টাসে মিথ্যা বা অসঙ্গত তথ্য দাখিলের মাধ্যমে এর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এর নিবন্ধন সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রি-আইপিওকালে কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির বাস্তব আর্থিক অবস্থা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে নিরীক্ষক সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার-সংক্রান্ত বিষয়ে কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে যথাযথ তথ্য সন্নিবিশিত না থাকায়, নিরীক্ষক শফিক বসাক অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দ ধ ন ত গ হ ত হয় প স ট স ইডস ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল