গকসু নির্বাচন: জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
Published: 17th, September 2025 GMT
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোমল পানীয় বিতরণের অভিযোগ উঠেছে এক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীর বিরুদ্ধে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ি, এটা স্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জিএস পদপ্রার্থী আফসানা মিমি নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করে বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের মাঝে কোমল পানীয় ও বিস্কুট বিতরণ করেছেন।
আরো পড়ুন:
টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ
চাকসু: ফয়জুন্নেছা হলে ১৪ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র বিক্রি
নির্বাচনী আচরণবিধি ১০ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোথাও কোনো ধরনের ক্যাম্প, প্যান্ডেল করা যাবে না। ভোটারদের কোনো ধরনের কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা উপঢৌকন প্রদান করা যাবে না।
অভিযুক্ত আফসানা মিমি বলেন, “আমি বিভিন্ন বিভাগে গেছি, এমন না। আজ রাজনীতি প্রশাসন বিভাগে গেছিলাম, যেখানে অনেক পূর্ব পরিচিত শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা খাইতে চাওয়ার কারণে এই ব্যবস্থা।”
বিভিন্ন সময়ে ছাত্রাবাসগুলাতে ভোটারদের খাওয়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, “মেসে গেলে তো ওটা (খাওয়ানো) করাই লাগে, আমিও করতেছি। অনেকেই তো সেগুলো করছে।”
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর জানায়, ইতোমধ্যে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা