লাল মাংস বা চর্বিজাতীয় খাবার না খেলেও যে পাঁচ অভ্যাসে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
Published: 18th, September 2025 GMT
মিষ্টি খাবার ও মিষ্টি পানীয় খাওয়া
নানা ধরনের মিষ্টি খাবার ও মিষ্টি পানীয় হরহামেশাই খাই আমরা। কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, কুকি, আইসক্রিম, ডোনাট, সোডা বা কোমল পানীয়, জুস, শরবত—এমন বহু খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে আপনি প্রায়ই বাড়তি চিনি গ্রহণ করতে পারেন। এসব খাবার খেলে হুট করে বাড়ে রক্তের শর্করা।
রক্তের এই শর্করা চর্বি হিসেবে আবার দ্রুত জমা হয় দেহে। তাতেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই এড়িয়ে চলুন এসব খাবার ও পানীয়। মনে রাখবেন, গুড়, মধু, কৃত্রিম চিনি কোনোটিকেই কিন্তু চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প ভেবে নেওয়া যাবে না।
পরিশোধিত খাবার খাওয়াসাদা চাল, ময়দা, সাদা আটা ইত্যাদি হলো রিফাইনড বা পরিশোধিত খাবার। সাদা পাউরুটি, নুডলস, পাস্তা, পিৎজা, ডো সবই তৈরি হয় পরিশোধিত শস্যদানা থেকে।
পরিশোধিত খাবার খেলে হুট করে বাড়ে রক্তের শর্করা, বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। সুস্থ থাকতে হোল গ্রেইন অর্থাৎ গোটা শস্যদানা, যেমন লাল চাল, লাল আটা, ওটস, কিনোয়া, বার্লি প্রভৃতি দিয়ে তৈরি খাবার বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুনকতবেল যেভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণ খেয়াল না করাসুস্থ থাকতে পাতে বাড়তি লবণ নেওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি। একইভাবে খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণের দিকেও খেয়াল রাখা আবশ্যক। চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পনির, চানাচুর, নোনতা বিস্কুট, শর্ষে, কাসুন্দি, মেয়োনেজ, সস, কেচাপ ও সয়া সসের মতো খাবারে থাকে বাড়তি লবণ।
এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন সসেজ, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, টিনজাত খাবার বা শুঁটকিতেও থাকে লুকানো লবণ। এই বাড়তি লবণের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা।
সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার বা খাদ্য উপকরণ এড়িয়ে চলুন। ধরুন, আপনি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবে পেয়ারা খাচ্ছেন, তবে তা মাখাচ্ছেন লবণ কিংবা কাসুন্দি দিয়ে।
লবণ বা কাসুন্দির কারণে আপনার স্ন্যাকটা কিন্তু আর স্বাস্থ্যকর থাকবে না। বাদাম বেছে নিলেও খেয়াল রাখবেন, তা যেন সল্টেড না হয়।
দেহ ও মনের যত্ন না নেওয়াসুস্থ অবস্থায় দেহ ও মনের প্রতি আমরা অনেকেই উদাসীন থাকি। কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপমুক্ত জীবনযাপন হৃদযন্ত্রের সুস্থতার চাবিকাঠি। একটানা লম্বা সময় বসে কাজ করেন, এমন ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও মনের যত্নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জীবনসঙ্গী, সন্তান, মা-বাবা, বন্ধুদের সময় দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেকেই আছেন, যিনি জীবনে সব পেয়েছেন, কিন্তু কাছের মানুষদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় একাকিত্বে ভোগেন।
মানসিক চাপ বাড়ায় বলে একাকিত্ব হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। কাছের মানুষ তো বটেই, পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময়যাপনও একাকিত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুনহাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা কতটা ভালো ব্যায়াম, জানেন?১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ধূমপান ও মদ্যপানধূমপানের কারণে রক্তনালির স্বাভাবিক নমনীয়তা নষ্ট হয়। ফলে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। ই-সিগারেট বা ভেপে অভ্যস্ত হলেও আপনি পড়বেন হৃদরোগের ঝুঁকিতে। সুস্থ থাকতে তাই ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগের বিকল্প নেই। মদ্যপানেও বাড়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের আশঙ্কা।
সূত্র: ওয়েবএমডি
আরও পড়ুনআপনি কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছেন? বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স স থ থ কত হ দর গ র ঝ পর শ ধ ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল