মিষ্টি খাবার ও মিষ্টি পানীয় খাওয়া

নানা ধরনের মিষ্টি খাবার ও মিষ্টি পানীয় হরহামেশাই খাই আমরা। কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, কুকি, আইসক্রিম, ডোনাট, সোডা বা কোমল পানীয়, জুস, শরবত—এমন বহু খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে আপনি প্রায়ই বাড়তি চিনি গ্রহণ করতে পারেন। এসব খাবার খেলে হুট করে বাড়ে রক্তের শর্করা।

রক্তের এই শর্করা চর্বি হিসেবে আবার দ্রুত জমা হয় দেহে। তাতেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই এড়িয়ে চলুন এসব খাবার ও পানীয়। মনে রাখবেন, গুড়, মধু, কৃত্রিম চিনি কোনোটিকেই কিন্তু চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প ভেবে নেওয়া যাবে না।

পরিশোধিত খাবার খাওয়া

সাদা চাল, ময়দা, সাদা আটা ইত্যাদি হলো রিফাইনড বা পরিশোধিত খাবার। সাদা পাউরুটি, নুডলস, পাস্তা, পিৎজা, ডো সবই তৈরি হয় পরিশোধিত শস্যদানা থেকে।

পরিশোধিত খাবার খেলে হুট করে বাড়ে রক্তের শর্করা, বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। সুস্থ থাকতে হোল গ্রেইন অর্থাৎ গোটা শস্যদানা, যেমন লাল চাল, লাল আটা, ওটস, কিনোয়া, বার্লি প্রভৃতি দিয়ে তৈরি খাবার বেছে নিতে পারেন।

আরও পড়ুনকতবেল যেভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণ খেয়াল না করা

সুস্থ থাকতে পাতে বাড়তি লবণ নেওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি। একইভাবে খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণের দিকেও খেয়াল রাখা আবশ্যক। চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পনির, চানাচুর, নোনতা বিস্কুট, শর্ষে, কাসুন্দি, মেয়োনেজ, সস, কেচাপ ও সয়া সসের মতো খাবারে থাকে বাড়তি লবণ।

এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন সসেজ, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, টিনজাত খাবার বা শুঁটকিতেও থাকে লুকানো লবণ। এই বাড়তি লবণের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা।

সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার বা খাদ্য উপকরণ এড়িয়ে চলুন। ধরুন, আপনি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবে পেয়ারা খাচ্ছেন, তবে তা মাখাচ্ছেন লবণ কিংবা কাসুন্দি দিয়ে।

লবণ বা কাসুন্দির কারণে আপনার স্ন্যাকটা কিন্তু আর স্বাস্থ্যকর থাকবে না। বাদাম বেছে নিলেও খেয়াল রাখবেন, তা যেন সল্টেড না হয়।

দেহ ও মনের যত্ন না নেওয়া

সুস্থ অবস্থায় দেহ ও মনের প্রতি আমরা অনেকেই উদাসীন থাকি। কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপমুক্ত জীবনযাপন হৃদযন্ত্রের সুস্থতার চাবিকাঠি। একটানা লম্বা সময় বসে কাজ করেন, এমন ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও মনের যত্নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জীবনসঙ্গী, সন্তান, মা-বাবা, বন্ধুদের সময় দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেকেই আছেন, যিনি জীবনে সব পেয়েছেন, কিন্তু কাছের মানুষদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় একাকিত্বে ভোগেন।

মানসিক চাপ বাড়ায় বলে একাকিত্ব হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। কাছের মানুষ তো বটেই, পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময়যাপনও একাকিত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে।

আরও পড়ুনহাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা কতটা ভালো ব্যায়াম, জানেন?১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ধূমপান ও মদ্যপান

ধূমপানের কারণে রক্তনালির স্বাভাবিক নমনীয়তা নষ্ট হয়। ফলে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। ই-সিগারেট বা ভেপে অভ্যস্ত হলেও আপনি পড়বেন হৃদরোগের ঝুঁকিতে। সুস্থ থাকতে তাই ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগের বিকল্প নেই। মদ্যপানেও বাড়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের আশঙ্কা।

সূত্র: ওয়েবএমডি

আরও পড়ুনআপনি কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছেন? বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স স থ থ কত হ দর গ র ঝ পর শ ধ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ