রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাত দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন তারা।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ৬ দফা দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

রাকসু নির্বাচন; ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পোলিং এজেন্টদের প্রবেশাধিকার ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ হতে যাবতীয় সুবিধা নিশ্চত করা; সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আইডি কার্ডের ব্যবস্থা রাখা এবং কেবল প্রশাসন অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার প্রদান করা; ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা এবং বিশেষজ্ঞ টিম রাখা।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোনো প্রার্থী প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে আপত্তি করলে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার ব্যবস্থা রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা; ভোটের দিন ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা; নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

দাবি নিয়ে শিবিরের প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমরা সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে নয় দফা দাবি দিয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা, সাংবাদিকদের জন্য পৃথক কার্ডের ব্যাবস্থা করা, ত্রুটি মুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা, ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, ভোট গণনা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো ইত্যাদি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে।”

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার  অধ্যাপক ড.

এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছি। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যে দাবিগুলো জানিয়েছে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে যেগুলো নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ট গণন প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ