এশিয়া কাপে পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচকে ঘিরে রীতিমতো নাটকীয় দৃশ্যের জন্ম হলো ম্যাচ শুরুর আগেই। সাধারণত টস হয় স্বাভাবিক নিয়মে, কিন্তু এবারের আসরে পাকিস্তানকে টস করতে হলো ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সামনেই বিশেষ পরিস্থিতিতে। ঘটনাটি এতটাই অপ্রত্যাশিত ছিল যে, অনেক ভক্তই বিস্মিত হয়েছেন।

তবে নাটকীয়তার পর টসে ভাগ্য হাসল না পাকিস্তানের দিকে। মুদ্রা নিক্ষেপে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। ফলে সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন দলকে শুরু করতে হচ্ছে ব্যাটিং দিয়ে।

আরো পড়ুন:

শেষ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা দেরিতে মাঠে নামছে পাকিস্তান, ম্যাচ রেফারি ইস্যুতেই ঝড়

‘বি’ ক্যাটাগোরিতে কত টাকা বেতন কমল বাবর-রিজওয়ানের?

ম্যাচটি দুদলের জন্যই কার্যত নকআউট সমান। কারণ, ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তান ও আমিরাত দুই দলই এর আগে দুটি ম্যাচ খেলে সমান ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তাই এই ম্যাচে যে জিতবে, ৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারতকে সঙ্গ দেবে শেষ চারে।

পাকিস্তান একাদশ:
সাইম আইয়ুব, শাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ হারিস, ফখর জামান, সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), খুশদিল শাহ, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, আবরার আহমেদ ও হারিস রউফ।

সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ:
আলিশান শারাফু, মোহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আসিফ খান, জোহাইব খান, হার্শিত কৌশিক, রাহুল চোপড়া, ধ্রুব পারাসার, হায়দার আলী, সিমরানজিৎ সিং, জুনায়েদ সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ রোহিদ।

এমন টানটান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন মাঠে। দেখা যাক, নাটকীয় টসের পর ম্যাচে কে শেষ হাসি হাসে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ আম র ত ন টক য়

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ