ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে বোয়ালমারী পৌরসভার কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় তল্লাশি চালিয়ে পুল ক্লাবের একটি গোপন লকার ভেঙে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি ওয়াকি-টকি সেট ও একটি ট্যাক্টিকাল দূরবীনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এছাড়া, মার্কেটের ছাদ সংলগ্ন একটি কক্ষ থেকে একটি এয়ারগান ও কিছু পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সময় মার্কেটের মালিক আব্দুল্লাহ কাজীকে পাওয়া যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই কর্মচারী কেয়ারটেকার আকিদুল ইসলাম ও রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার কাজী মুশফিককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী

গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। 
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
  • মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী