ফেনীতে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, খুলনায় গ্রেপ্তার ১
Published: 7th, March 2025 GMT
ফেনী সদর থানায় মানব পাচার আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় খুলনার দিঘলিয়া থানা পুলিশ রুবেল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত রুবেলকে শুক্রবার ফেনী সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যার পর দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটী ইউনিয়নের পথের বাজার এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেলের কাছ থেকে পুলিশ মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলার কাতালিয়া থেকে জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো.
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল শেখ ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা একাধিক ব্যক্তিকে টার্গেট করে কৌশলে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিদেশে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে তাদেরকে অপহরণ করে পরিবারের নিকট মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত মুক্তিপণ না দিলে তারা অপহৃত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট সেই ভিডিও পাঠিয়ে টাকা পাঠাতে বলে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।