ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে চাঁদার টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালের ওই ঘটনায় আহত গৃহবধূ আক্তারী বেগমকে (৩৫) সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী মো. করিম মিয়া থানায় মামলা করেছেন।

আক্তারী বেগম জানান, শুক্রবার সকালে তিনি নিজ জমিতে মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন। এসময় স্থানীয় আয়নাল বেপারী ও তার সঙ্গীরা চাঁদার টাকা দাবি করে তার কাজে বাধা দেন। টাকা না দেওয়ায় আয়নালের নেতৃত্বে তারা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আক্তারী বেগমকে মারধর করেন। পরে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপি অফিসে ‘বোমা’ হামলা, আহত ৩

কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে মৃত্যু, আটক ৫

সদরপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, "আহতের স্বামীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.

সুমন রায় বলেন, ‌“আক্তারী বেগমের মুখে ও শরীরে কয়েকটি স্থানে কাটা-ছেঁড়ার চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। পর্যবেক্ষণের পর তাকে বাড়িতে পাঠানো হবে।”

সদরপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, ‍“আহতের স্বামীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ সদরপ র উপজ ল ক ত কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ