ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 10th, March 2025 GMT
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবয়াক মামুন হোসাইন হত্যা কান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি দেয় নেতা কর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। একই সাথে পালিয়ে যায় তার দোসররা। সে সকল দোসররা পালিয়ে থেকে তাদের অনুসারিদেরকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে হত্যা,ছিনতাই,ডাকাতি, লুটতরাজ,ধর্ষন সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্ম দিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়নগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ফতুল্লার কুতুবআইল তথা ফতুল্লা শিল্পঞ্চলের গডফাদার আকতার ও সুমনের অর্থায়নে ভাড়াটে কিলাররা গুলি করে মামুন কে। আকতার -সুমন সহ সকল আসামীদরে গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি না করা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,
ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, জেলা কৃষক দল নেতা জুয়েল আরমান,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, তাতি দলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার,সাধারন সম্পাদক ইমন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন,এস,কে শাহিন,হারুনুর রশীদ হারুন,আরিফ প্রধান সহ নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।