চাষাড়া ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
Published: 16th, March 2025 GMT
নিজেকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই পরিচয় দিয়ে এক যুবকের কাছে থেকে দুটি ফোন নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাষাড়া ফাঁড়ির এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ট্রু-কলার সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানাগেছে ওই কনস্টেবলের নাম সুজন খান। তিনি চাষাড়া ফাঁড়ির গাড়ি চালক।
ভুক্তভোগী জানান, সুজন খান মানে ব্যক্তি ফোন দিয়ে আমার ফোনটি দিয়ে দিতে বলে। আমি ক্যাশ মেমো দেখালেও এটা চোরাই ফোন দাবি করে আমাকে হয়রানি করতে থাকে। তার হয়রানিতে বিরক্ত হয়ে ফোনটি দিয়ে পাঠাই। কিন্তু ভুলে অন্য ফোন দিয়ে দেই।
পরবর্তিতে পুনরায় তার দাবি করা ফোনটি নিয়ে গেলে দুইটি ফোনই রেখে দেয়। একই সাথে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে সুজন খানকে কল দিলে এই প্রতিবেদককেও হয়রানির হুমকি দিয়ে বলেন, কল দিয়েছেন এতে আপনিও বিপদে পড়বেন। একটি ফোন ফেরত দিতে বললে ফোন কেটে দেয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।