ভারতের ফিল্মফেয়ার গ্ল্যামার এন্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে ট্রেডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রথমবার কলকাতায় এই অ্যাওয়ার্ড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন জয়া আহসান নিজেই।

ফিল্মফেয়ার গ্লামার এন্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ড প্রথমবার জিতলেও এর আগে অভিনয়ের জন্য তিনি একাধিক ফিল্মফেয়ার জিতেছেন।

অ্যাওয়ার্ড হাতে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে জয়া লিখেছেন, ‘এ বছর ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার এন্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে ট্রেডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। এই স্বীকৃতির জন্য ফিল্মফেয়ারের পুরো টিমকে ধন্যবাদ। ফিল্মফেয়ার সবসময় আমাকে বিশেষ অনুভূতি দিয়েছে, এটি আমার দীর্ঘ যাত্রায় একটি নতুন সংযোজন হয়ে থাকবে।’

এদিন জয়া পরেছিলেন একটি অলিভ রঙের সাইনি সিল্ক হাই স্লিট গাউন। এই গাউনের ডিজাইন করেছেন বাংলাদেশের ডিজাইনার সানায়া চৌধুরী।

জয়া আহসান এ পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁকে  অভিনন্দন ও শুভেচ্ছো জানিয়েছেন সহকর্মীরা।  অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ লিখেছেন, ‘আপা, আপনাকে অভিনন্দন। আমরা আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের গর্ব।’

অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ লিখেছেন, ‘অভিনন্দন! এই বসয় পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকবো কিনা সন্দেহ।’

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া