২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যা করতে হবে আর্জেন্টিনাকে
Published: 23rd, March 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো বেশ কিছু সময় বাকি। তবে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে জাপান। এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপে খেলার প্রথম সুযোগ পেতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বে এমন অবস্থানে রয়েছে স্কালোনির দল, যেখানে পরবর্তী পাঁচ ম্যাচে পরপর হার ও অন্তত ১৫ গোল হজম করলেই কেবল বাদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হবে। যা বাস্তবে হওয়া অত্যন্ত অসম্ভব।
আগামী বুধবার (২৬ মার্চ) চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ঐ ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ টিকিট। আর জয় পেলে নিঃসন্দেহে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে স্কালোনির শিষ্যরা।
তবে এর আগেই বিশ্বকাপে জায়গা পাকা হয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনার। কারণ একই দিনে আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে মুখোমুখি হবে বলিভিয়া ও উরুগুয়ে। যদি বলিভিয়া ওই ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, তাহলে মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার। তবে বলিভিয়া জয় পেলে অপেক্ষায় থাকতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে থাকা ব্রাজিলের বিশ্বকাপে খেলতে হলে আরও কয়েকটি ম্যাচে জয় প্রয়োজন। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জয় পেলেই নিশ্চিত হবে তাদের জায়গা। তবে মর্যাদার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া থাকবে সেলেকাওরাও।
দুই দলেরই বড় ম্যাচের আগে রয়েছে কিছু দুশ্চিন্তা। ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না ব্রাজিল। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পান মিডফিল্ডার গার্সন এবং গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় ছিটকে গেছেন গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েস ও ব্রুনো গুইমারেস। আর্জেন্টিনাও পরবর্তী ম্যাচে এক খেলোয়াড়কে লাল কার্ডের কারণে হারাবে। এছাড়া রদ্রিগো ডি পলের খেলা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সব মিলিয়ে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চললে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকছে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন র ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।