কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আরব আলী নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার করগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আরব আলী (৩৫) করগাঁও ইউনিয়নের কোনাপাড়া পশ্চিমহাটি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আরব আলীর বোন সুরমা বেগম বাদী হয়ে কটিয়াদী থানায় মামলা করেছেন। এতে পাঁচজনকে এজাহারভুক্ত ও আরও সাতজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা পেতেন হাসান। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালিশ হয়। এতে আলমের পক্ষে আরব আলী ও হাসানের পক্ষে ফারুক সালিশে বসেন। সালিশ চলাকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। মারধরে ঘটনাস্থলেই আরব আলীর মৃত্যু হয়। 

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক যুবককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে থানা পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। যেহেতু পাশের কটিয়াদী থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ কটিয়াদী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

অটোরিকশা কেনার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ স ঘর ষ ন হত মরদ হ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাসহ অন্তত ১৪ মামলার আসামি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সাইদুর রহমান সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. ফারুক।

কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানান, সাইদুর রহমান সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে আরও দুই বন্দির সঙ্গে ছিলেন। রোববার সকালে সুজন নাস্তাও করেছেন। এরপর একজনের হাজিরা থাকায় আদালতে যায় এবং আরেকজন ঘুমাচ্ছিলেন। এই সুযোগে সুজন নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে আমরা দ্রুততম সময়েই তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।

গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সেদিন রাতেই তাকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে সাভার থানায় অন্তত ১৪টি মামলা করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও বিচার চলতে থাকা সুজন তখন থেকে কারাবন্দি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ